মাদ্রাসাছাত্রীকে ‘ধর্ষণ শেষে হত্যা’, অটোচালক গ্রেপ্তার
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
মাদারীপুরে আটদিন আগে এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে এক অটোরিকশা চালককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। শুক্রবার শহরের পাকদী এলাকা থেকে সাজ্জাদ হোসেন খানকে (৪০) আটক করা হয় বলে র্যাব জানিয়েছে। গতকাল শনিবার মাদারীপুর র্যাব ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য প্রকাশ করেন র্যাবের সহকারী পরিচালক মো. রইসউদ্দিন।
তিনি বলেন, দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই মাদ্রাসাছাত্রী গত ৯ জুলাই মাদারীপুর শহরে বোনের বাসায় বেড়াতে আসেন। সেখান থেকে ১১ জুলাই দুপুরে শহরের আরেক প্রান্ত চরমগুরিয়ায় চাচার বাসায় যাচ্ছিলেন একটি অটোরিকশায়।
রইনউদ্দিন বলেন, মেয়েটি ছিলেন অটোরিকশার একমাত্র যাত্রী। তখন বৃষ্টি হচ্ছিল। অটোর চালক সাজ্জাদ খান পাকদী এলাকায় তার ফাঁকা বাড়িতে নিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ শেষে গলাটিপে হত্যা করে। চিনতে না পারার জন্য লাশের মুখ এসিড দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। পরে লাশের গায়ে ইট বেঁধে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে লাশ ডুবিয়ে রাখে।
এছাড়া ওই ছাত্রীর পরনের পোশাক ও সেন্ডেল একটি সিমেন্টের ব্যাগে ভরে ইটি দিয়ে পুকুরেই ডুবিয়ে রাখে বলে রইসউদ্দিন জানান।
তিনি বলেন, গত ১৩ জুলাই মেয়েটির বিবস্ত্র লাশ পুকুরে ভেসে উঠলে অজ্ঞাতনামা হিসেবে পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে। এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরে মেয়েটির পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে লাশ শনাক্ত করেন। পরে র্যাব এই ঘটনায় জড়িতদের ধরতে তদন্তে নামে এবং লাশের গায়ে বেঁধে দেওয়া ইটের সূত্র ধরে তদন্ত করে এবং সাজ্জাদকে আটক করে। নিহত মেয়েটির স্বজনরা সাজ্জাদের পক্ষে কোনো আইনজীবীকে অংশ না নেওয়ার আহŸান জানিয়েছেন।
র্যাব কর্মকর্তা রইসউদ্দিন জানান, সাজ্জাদ ১৯৯২ সালে ৭ বছরের এক শিশুর কানের গহনা চুরির উদ্দেশ্য গলাটিপে হত্যার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাভোগ করে ২০১১ সালে মুক্ত হয়েছিলেন।