মাদক নির্মূলে অ্যাকশন প্ল্যান বাস্তবায়ন করা হচ্ছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন বলেছেন, মাদককে চিরতরে নির্মূল করতে ‘অ্যাকশন প্ল্যান’ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, এর অংশ হিসাবে গত বছর প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্যগণ ১ লাখ ৬১ হাজার ৩২৩ জনকে আসামী করে ১ লাখ ১৯ হাজার ৮৭৮টি মামলা দায়ের করেছে।
তিনি আজ সংসদে জাতীয় পার্টির মো. মুজিবুল হকের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ৬ কোটি ৯১ লাখ ২৯ হাজার ৩২৮টি ইয়াবা, ৪৫০ কেজি হিরোইন, ৬০ হাজার ৩৪৩ কেজি গাঁজা এবং ৭ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৬ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা সরকারের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তবে বর্তমান সরকার দেশের যুব সমাজকে মাদক ও সকল ধরনের নেশা থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে বহুবিধ পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে।
তিনি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং তা বাস্তবায়ন অব্যাহত রয়েছে। এ নীতি বাস্তবায়নে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব ও কোস্টগার্ডসহ সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা মাদক অপরাধ নির্মূলে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, এনফোর্সমেন্ট কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সমন্বয়ে কোর কমিটি এবং কক্সবাজার ও টেকনাফে ইয়াবা পাচার বিরোধী টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদক সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে এ পর্যন্ত মহাপরিচালক পর্যায়ে ৫টি ফলপ্রসূ দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাশাপাশি ইয়াবা পাচার রোধকল্পে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে এ পর্যন্ত তিনটি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিটি সভাতেই মিয়ানমারকে ইয়াবার উৎপাদন ও প্রবাহ বন্ধ করার জন্য এবং মিয়ানমার সীমান্তে অবস্থিত ইয়াবা তৈরির কারখানা সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, মাদকবিরোধী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মুখ্য সচিবের সভাপতিত্বে স্ট্র্যাটেজিক কমিটি, সুরক্ষা সেবা বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিবকে আহ্বায়ক করে এনফোর্সমেন্ট কমিটি এবং সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে আহ্বায়ক করে মাদকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টি এবং সামাজিক আন্দোলন সংক্রান্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দেশ থেকে মাদক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে কমিটিগুলো কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন, মাদকের অনুপ্রবেশ বন্ধে ইতোমধ্যে টেকনাফে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ১৪ জনবল এবং ১০ জন আনসারসহ ২৪ জনবল বিশিষ্ট একটি অস্থায়ী সার্কেল কাজ করছে। এ সার্কেলটিকে স্থায়ী সার্কেলে রূপান্তরের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, টেকনাফ সীমান্তসহ সকল সীমান্তে মাদক চোরাচালান বন্ধে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও কোস্টগার্ড সীমান্ত এলাকায় টহল কার্যক্রম জোরদার করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টেকনাফের নাফ নদীতে সিসি ক্যামেরা, ড্রাগ ডিটেক্টর, স্ক্যানার মেশিনসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি ব্যবহারের পরিকল্পনা রয়েছে। এছাড়াও স্পীডবোট ক্রয়ের পরিকল্পনা রয়েছে।