মাজেদ কী তথ্য দিয়েছে, তা প্রকাশে দাবি নাসিমের
ফাঁসি কার্যকর হওয়া বঙ্গন্ধুর খুনি আবদুল মাজেদের জিজ্ঞাসাবাদে কী তথ্য দিয়েছেন, তা জাতির সামনে প্রকাশের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম
রোববার এক ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, “খুনির দেওয়া তথ্য প্রকাশ করার জন্য সরকারে কাছে আবেদন জানাচ্ছি।”
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনের নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যার আড়াই মাসের মাথায় জেলখানায় হত্যা করা হয় জাতীয় চার নেতাকে।
জাতীয় চার নেতার একজন শহীদ এম মনসুর আলীর ছেলে নাসিম বলেন, “জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ও জাতীয় চার নেতার খুনি মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় জাতি স্বস্তি পেয়েছে। এখন যেটা প্রযোজন এই খুনির তথ্য অনুযায়ী কারা তাকে, বিশেষ করে জিয়াউর রহমান, এরশাদ খালেদা জিয়ার আমলে সে কীভাবে সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করে গেল- এই তথ্যটি দেশবাসী জানা দরকার।
“কারণ সেনা শাসকদের বিশেষ করে জিয়া, খালেদা জিয়ার আমলে সরকারি কর্মকর্তা হয়ে ক্যান্টনমেন্টের মত সুরক্ষিত জায়গায় পরিবার পরিজন নিয়ে থাকার সুযোগ পেয়েছে। এমনকি পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে কারা তাকে আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছিল। কোন কর্মকর্তারা দেশের মধ্যে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা হিসেবে আসীন করেছিল, তা জানা প্রয়োজন। খুনির তথ্য অনুযায়ী এই বিষয়টি প্রাকাশ করার জন্য সরকারে কাছে আবেদন জানাচ্ছি।”
যে সেনা সদস্যরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করেছিল, মাজেদ তাদের একজন। অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে সেই হত্যাকাণ্ডের বিচার শেষে ২০০৯ সালের নভেম্বরে সর্বোচ্চ আদালত থেকে ১১ জনের ফাঁসির রায় আসে। তাদের মধ্যে পাঁচ আসামির মৃত্যুদণ্ড ২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি কার্যকর করা হলেও মাজেদসহ ছয়জন পলাতক থাকেন।
দুই দশকেরও বেশি সময় ভারতের পালিয়ে থাকার পর গত মঙ্গলবার সকালে ঢাকার মিরপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হন সাবেক সেনা কর্মকর্তা মাজেদ। তার দণ্ড কার্যকর করতে বুধবার ঢাকার জজ আদালত মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে।
মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি নাকচ করায় শনিবার মধ্যরাতে ফাঁসি কার্যকর করা হয়।