November 26, 2024
ফিচার

মাছের ডিমের ফেসিয়াল ৮০ হাজার টাকা

মাছের ডিম দিয়েও করা হয় রূপচর্চা! নিশ্চয়ই একথা জেনে আপনার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছে। অবাক করা বিষয় হলেও সত্যিই যে, বিশ্বের ধনী ব্যক্তিরাই শুধু এই ফেসিয়াল করতে পারেন। কারণ একেকবার এই ফেসিয়ালে গুনতে হবে ৮০ হাজার টাকা।

এটি আমেরিকার জনপ্রিয় এক ফেসিয়াল। কারদাশিয়ান বোনেরা থেকে শুরু করে হলিউডের নামকরা অভিনেত্রীরা নিয়মিত এই ফেসিয়াল করেন। এই ফেসিয়ালের দাম হলো ১০০০ ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ৮০ হাজারেরও বেশি।

অনেকেই হয়তো ভাবতে পারেন, এই ফেসিয়ালের এতো দাম কেন? কারণ এই ফেসিয়াল করা হয় বিশেষ এক মাছের ডিম দিয়ে। ক্যাভিয়ারের ডিএনএ। বিশ্বের সবচেয়ে দামি খাবারের মধ্যে অন্যতম হলো ক্যাভিয়ার।

বাংলাদেশি টাকায় ৩০ গ্রাম ক্যাভিয়ারের দাম পড়তে পারে ১০-২০ হাজার টাকা। কালো ক্যাভিয়ারের দাম সবচেয়ে বেশি। জানা যায়, অস্কারের অনুষ্ঠানের আগে নামকরা অভিনেত্রীরা এই বিশেষ ফেসিয়াল নিতে ছুটেন।

কিম কারদাশিয়ানসহ তার বোন ক্লোয়ি ও কোর্টনি কারদাশিয়ানও মাসে দুই থেকে তিন বার এই ফেসিয়াল করেন। চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখে এই বিশেষ ফেসিয়াল। কারণ ক্যাভিয়ারে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।

তাই ত্বকে ম্যাজিকের মতো কাজ করে ফেসিয়ালটি। ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন মুহূর্তেই বেড়ে যায় এই ফেসিয়াল করলে। ত্বক আরও কোমল ও দাগহীন হয়।

কীভাবে করা হয় মাছের ফেসিয়াল?

এক্ষেত্রে বিউটিশিয়ানরা নানাভাবে ত্বক পরিষ্কার করার পর ৪-৫ রকম মাস্ক ব্যবহার করেন। কোলাজেন মাস্কও থাকে তার মধ্যে। এক ধরনের এনজাইম পিলও ব্যবহার হয়। এক ঘণ্টা ধরে হায়ড্রা ফেসিয়াল করানো হয়।

তারপর থাকে এলইডি লাইট দিয়ে ট্রিটমেন্ট। বিলাসবহুল ফরাসি ব্র্যান্ডের নানা রকম ক্রিম-ময়েশ্চারাইজার ও বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করা হয়।

সঙ্গে থাকে চার রকমের ম্যাসাজ। জাপানের ৫৪০ বছর পুরনো কোবিডো পদ্ধতিতেও ম্যাসাজ করানো হয়। যা নিয়মিত করলে মুখের আকৃতি সুন্দর হয়।

এই ফেসিয়াল শেষ হতে ৫-৬ ঘণ্টা সময় লাগে। তবে এই ফেসিয়াল সব জায়গায় পাওয়া যায় না। এটি পাওয়া যায় কেবল নিউ ইয়র্ক, প্যারিস, লাস ভেগাস, লাগুনা বিচসহ হাতে গোনা কয়েকটি শহরে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *