মাঙ্কিপক্সের নতুন ৩ গুরুতর লক্ষণ সামনে এলো
বিশ্ব এখনো করোনাভাইরাস মহামারির সঙ্গে লড়াই করছে। তার মধ্যে আবার মাঙ্কিপক্স সংক্রমণও একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়ছে। মাঙ্কিপক্স হলেঅ একটি ভাইরাল সংক্রমণ যার উপসর্গ গুটিবসন্ত সংক্রমণের মতো।
বিশ্বজুড়ে মাঙ্কিপক্সের ঘটনা বাড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) বিশ্বব্যাপী এই সংক্রমণের বিষয়ে সতর্ক করেছে। ২২ শে জুলাই পর্যন্ত, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের তথ্য জানাচ্ছে, বিশ্বব্যাপী ১৬ হাজার ৮৩৬টি মাঙ্কিপক্স নিশ্চিত করা হয়েছে।
সম্প্রতি চিকিত্সকরা মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ৩টি নতুন লক্ষণ শনাক্ত করেছেন। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিন স্টাডি হলো এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় মাঙ্কিপক্স কেস স্টাডি সিরিজ। যার মধ্যে ২৭ এপ্রিল থেকে ২৪ জুন এর মধ্যে ৪৩টি সাইটে ৫২৮টি সংক্রমণ রিপোর্ট করা হয়।
সম্প্রতি মাঙ্কিপক্সের নতুন ৩ গুরুতর লক্ষণ প্রকাশ পেয়েছে। ত্বকে ফুসকুড়ির পাশাপাশি মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত ব্যক্তিদের যৌনাঙ্গে ঘা, মুখে ঘা ও মলদ্বারে ঘা হতে পারে। গবেষকরা দেখেছেন, প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজনের যৌনাঙ্গে ক্ষত ছিল ও ১৫ শতাংশ মানুষের পায়ুপথ অথবা মলদ্বারে ব্যথা ছিল।
মাঙ্কিপক্সের এই ক্লিনিকাল লক্ষণগুলো সিফিলিস বা হারপিসের মতো যৌন সংক্রামিত সংক্রমণের (এসটিআই) অনুরূপ। এ কারণে অনেকেই এ সমস্যাকে মাঙ্কিপক্স বলে ভাবতেই পারছেন না। গবেষকরা জানান, ভুল রোগ নির্ণয় মাঙ্কিপক্স সনাক্তকরণকে ধীর করে দিতে পারে।
এমনকি ভাইরাসের বিস্তারও বাড়ারেত পারে। কিছু মানুষ মলদ্বার ও মুখের উপসর্গের কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন যা খাবার গিলতে ব্যথা ও অসুবিধা সৃষ্টি করছে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মুখের মধ্যে ঘা, পায়ুপথের শ্লেষ্মা বা ঘা এই উপসর্গগুলো ক্রমেই গুরুতর হতে পারে। তাই সময়মতো রোগ নির্ণয় ও এর উপযুক্ত চিকিৎসা করা জরুরি।
বার্টস এনএইচএস হেলথ ট্রাস্ট ও লন্ডনের কুইন মেরি ইউনিভার্সিটির ক্লিনিক্যাল সিনিয়র লেকচারার, যৌন স্বাস্থ্য ও এইচআইভি বিষয়ক পরামর্শক চিকিৎসক ডাক্তার জন থর্নহিল বলেছেন, ‘মাঙ্কিপক্স আসলে যৌন সংক্রমণ নয়; এটি যে কোনো ধরনের ঘনিষ্ঠ শারীরিক যোগাযোগের মাধ্যমে হতে পারে।’
যাই হোক ডক্টর থর্নহিল পরামর্শ দেন, এখন পর্যন্ত বেশিরভাগ সংক্রমণ যৌন কার্যকলাপের সঙ্গে সম্পর্কিত হলেও বিশেষভাবে এই রোগে বেশি সংক্রমিত হচ্ছে সমকামী পুরুষরা।