মসলা ভেবে ৩ বছর ধরে ‘নিষিদ্ধ পপি’ চাষ, গ্রেফতার ৫
ধান, আলু, সরিষা বা অন্য কোনো ফসল নয়, জয়পুরহাট সদর উপজেলার পুরানাপৈল বনখুর মাঠে চাষ হয়েছে পপির। তরকারির সুস্বাদু উপাদেয় মসলা ভেবে একজনের চাষে উদ্বুদ্ধ হন আরও পাঁচ কৃষক। এভাবেই জেলায় বিস্তার লাভ করছিল পপি চাষ। কৃষি বিভাগের তথ্যে এ ফসল নিষিদ্ধ বলে ঘোষিত হওয়ায় পাঁচজন চাষিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। একই সঙ্গে সাত বিঘায় ফলসহ চাষকৃত পপি গাছ কেটে ধ্বংস করা হয়েছে।
গ্রেফতাররা হলেন- বনখুর গ্রামের মৃত বিপুল চন্দ্র দাসের ছেলে রাজেন্দ্রনাথ দাস (৬০), মৃত রুপচাঁন মণ্ডলের ছেলে নইমুদ্দিন মণ্ডল (৬০), বড়তাজপুর গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে গোলাম মোস্তফা (৬৫), পাঁচবিবি উপজেলার পূর্ব বালিঘাটা গ্রামের আব্দুল রউফ ওরফে রবের ছেলে রিপন সর্দার (৩৭) ও বালিঘাটা বাজারের মৃত কুমুন্ড বিহারী দাসের ছেলে নেপাল চন্দ্র দাস (৫২)।
রোববার (৭ মার্চ) বিকেলে জয়পুরহাট র্যাব-৫ ক্যাম্পের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম মোহাইমেনুর রশিদ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বনখুর গ্রামে তরকারির সুস্বাদু উপাদেয় মসলা ভেবে আফিমজাতীয় নেশার আবাদ পপি চাষ শুরু হয় তিন বছর আগে। অল্প খরচে পপি চাষ করে অধিক টাকা লাভ হওয়ায় বর্তমানে এ ফসলের চাষ বেড়েছে প্রায় সাত বিঘায়। এই পপি চাষ করেছেন পাঁচজন কৃষক। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রোববার দুপুরে পপিক্ষেতে যান র্যাব সদস্যরা।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরও বলেন, মোট সাত বিঘা জমিতে ৪ লাখ ২৩ হাজার ৫০০ গাছে ১৬ লাখ ৯৪ হাজার পিস পপির ফল কেটে ধ্বংস করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ চাষিকে আটক করা হয়েছে।
আটকদের জয়পুরহাট সদর থানায় সোপর্দ করাসহ সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।