December 22, 2024
জাতীয়লেটেস্ট

মশা মারতে কামান চাই না, প্রিয়া সাহা প্রসঙ্গে কাদের

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে প্রিয়া সাহার মিথ্যা অভিযোগের বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিষয়টার গভীরে আমরা যাচ্ছি, সবকিছু জেনেশুনে সিদ্ধান্ত নিতে চাই।

তবে তার বক্তব্য নিয়ে সরকার ‘মশা মারতে কামান দাগাতে চায় না’ বলেও জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক।

সোমবার (২২ জুলাই) সচিবালয়ে ঈদ উপলক্ষে সড়ক বিভাগের প্রস্তুতি এবং সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে একথা জানান মন্ত্রী।

সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ আলোচনায় আসার পর প্রিয়া সাহা রোববার (২১ জুলাই) ফেসবুক লাইভে এসে জানান, তিনি একটি গবেষণার ফল নিয়ে কথা বলেছেন।

শেখ হাসিনা যখন বিরোধী দলে ছিলেন তার বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে বক্তব্য দিয়েছেন- প্রিয়া সাহার এমন দাবি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার বক্তব্যে তিন কোটি ৭০ লাখ লোক মিসিং- এ কথা তো নাই। শেখ হাসিনা তো এরকম কোনো কথা বলতে পারেন না।

‘এ ধরনের বক্তব্য মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে বলা, এটা আমাদের দেশকে ছোট করা। এটা একটা কাল্পনিক বক্তব্য, উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্য। আমরা রয়ে সয়ে অগ্রসর হচ্ছি, মশা মারতে আমরা কামান দাগাতে চাই না।’

তিনি বলেন, বিষয়টা নিয়ে আমরা আরো খোঁজ-খবর নিয়েছি, এসব বক্তব্য দেওয়ার পেছনে অন্য কারো হাত আছে কিনা? তিনি যখন দেশে ফিরবেন, তিনি বলেছেন দেশে ফিরবেন। তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে যে, তিনি কী উদ্দেশ্যে বলেছেন, কেন বলেছেন, কী ইনফরমেশনের ভিত্তিতে বলেছেন- সেটা তাকে অবশ্যই ব্যাখ্যা করতে হবে। কারণ দেশে একটা কনফিউশন সারা জাতির মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ থেকে তিন কোটি ৭০ লাখ মাইনরিটি মানুষ মিসিং- এ ধরনের উদ্ভট-কাল্পনিক বক্তব্য উনি কেন দিলেন, কেমন করে দিলেন? আর শেখ হাসিনা মাইনরিটি নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন সে বক্তব্যের সঙ্গে সংখ্যাতত্ত্বের এই বিষয়টাতে কোনো মিল নেই।

দেশে না এলে কী ব্যবস্থা নেবেন- প্রশ্নে কাদের বলেন, উনি নিজেই বলেছেন দেশে ফিরে আসবেন। আর এটা এমন একটা বিষয় নয় যে জোর করে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে, এরকম কিছু আমরা পাইনি। আমরা খতিয়ে দেখছি, সেরকম কিছু হলে পরে দেখা যাবে।

সরকার কী ব্যাকফুটে গেল- এ বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, এটা ব্যাকফুটের কোনো বিষয় না। বিষয়টা হলো কমিউনাল কমিউশন সৃষ্টির বিষয়। কারণ, সে তো সামান্য ব্যক্তি হলেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। উনি এনজিও সংগঠনের নেতৃত্ব দেন, আবার হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের অ্যাপেক্স বডির অর্গানাইজিং সেক্রেটারি। কাজেই এটাকে তো তুচ্ছ জ্ঞান আমরা করতে পারি না। বিষয়টার গভীরে আমরা যাচ্ছি, সবকিছু জেনেশুনে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে চাই। একটা বিষয় নিয়ে এক ধরনের বক্তব্য নিয়ে আমরা মশা মারতে কামান দাগাতে চাই না।

প্রিয়া সাহার বক্তব্য শেখানো কথা কি-না? এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, সেটা আমাদের জানা নেই। কারো প্ররোচণা করেছে কি-না, পেছনে কোনো রাজনৈতিক মতলব আছে কি-না, উস্কানি আছে কি-না, বিষয়টা আমাদের জানতে হবে এবং আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি।

তার স্বামী দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) চাকরি করেন- এ বিষয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, উনার স্বামী সরকারি চাকরি করেন। এক পরিবারে স্বামী-স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে সবাই এক মতাদর্শী হবেন- এমন তো কোনো কথা নয়। উনার স্ত্রী অন্যায় করল, সেটার জন্য স্বামীকে কেন অভিযুক্ত করতে হবে- এটা তো কোনো আইনে নেই। আমরা অহেতুক এ ধরনের বিষয়কে কেন ইনভাইট করতে যাবো?

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *