মন্ত্রিসভার ২৭ জনই নতুন
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের প্রবীণদের অধিকাংশই জায়গা হারিয়েছেন, নতুন মন্ত্রিসভায় অর্ধেকেরও বেশি আসছে নতুন মুখ। নতুন মন্ত্রিসভায় যে ৪৭ জনের নাম এসেছে, তাদের ২৭ জন এবারই প্রথম মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন। এছাড়া ২০০৯ সালের মন্ত্রিসভার চারজনকেও আবার ফিরিয়ে এনেছেন শেখ হাসিনা।
কুমিল্লা-৯ আসন থেকে নির্বাচিত মো. তাজুল ইসলাম মন্ত্রিসভায় ঢুকছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ছিলেন তিনি।
তার মতোই সিলেটের সাংসদ এ কে আবদুল মোমেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হচ্ছেন, বিদায়ী অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের ভাই মোমেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন টিপু মুনশি, রংপুর-৪ আসনের এই সাংসদের বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি টিপু মুনশি এর আগে একটি সংসদীয় কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। নতুন শিল্পমন্ত্রী হচ্ছেন নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, নরসিংদী-৪ আসনের এই সাংসদ যুবলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা ছিলেন।
নারায়ণগঞ্জের সাংসদ গোলাম দস্তগির গাজী পাচ্ছেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। খেতাবপ্রাপ্ত এই মুক্তিযোদ্ধা গাজী গ্রুপের মালিক, যাদের বিভিন্ন ব্যবসার পাশাপাশি টেলিভিশনও রয়েছে। খাদ্যমন্ত্রী হচ্ছেন সাধন চন্দ্র মজুমদার, নওগাঁ-১ আসন থেকে একাধিকবার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শ ম রেজাউল করিম হচ্ছেন গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী। পিরোজপুর-১ আসন থেকে নির্বাচিত রেজাউল করিম আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক। আইনজীবীদের বিভিন্ন ফোরামের নির্বাচন ও কর্মসূচিতে সক্রিয় ছিলেন তিনি।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাচ্ছেন মৌলভীবাজারের আওয়ামী লীগ নেতা মো. শাহাব উদ্দিন। এছাড়া রেলমন্ত্রী হচ্ছেন নুরুল ইসলাম সুজন, পঞ্চগড় আওয়ামী লীগের এই নেতা ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা ছিলেন।
নতুন মন্ত্রিসভায় ১৯ জন প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে ১৫ জনই নতুন। তারা হলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ে কামাল আহমেদ মজুমদার, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে ইমরান আহমাদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে জাহিদ আহসান রাসেল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আশরাফ আলী খান খসরু, নৌ পরিবহণ মন্ত্রণালয়ে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, প্রাথমিক ও গনশিক্ষা জাকির হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ফরহাদ হোসেন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ে স্বপন ভট্টাচার্য, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে জাহিদ ফারুক, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মুরাদ হাসান, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে শরীফ আহমেদ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ে কে এম খালিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এনামুর রহমান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ে মাহবুব আলী, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ।
এছাড়া শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হচ্ছেন খুলনার মুন্নুজান সুফিয়ান, যিনি ২০০৯ সালের সরকারেও এই দায়িত্বে ছিলেন। মন্ত্রিসভার তিন উপমন্ত্রীই এবার প্রথম মন্ত্রিসভায় এসেছেন। তারা হলেন- খুলনার মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের স্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার (পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়) এবং আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম এনামুল হক শামীম (পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়) এবং মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল (শিক্ষা মন্ত্রণালয়)।