মজুরী কমিশনসহ ৯ দফা দাবীতে খুলনা-যশোর অঞ্চলের ৯ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা-যশোরসহ সারাদেশের পাটকল শ্রমিকদের মজুরী কমিশনসহ ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন খুলনা-যশোর অঞ্চলের ৯ রাষ্ট্রায়ত্ব পাটকলের শ্রমিকরা। বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের ডাকা ৭ দিনের আন্দোলন কর্মসুচির তৃতিয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে গতকাল বিকাল ৫ টায় পিপলস গোল চত্বরে বিশাল শ্রমিক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
পাটখাতে প্রয়োজনীয় অর্থবরাদ্দ, বকেয়া মজুরী-বেতন পরিশ্ধো, মজুরী কমিশন কার্যকর ও সপ্তাহিক মজুরী নিয়মিত প্রদান সহ ৯ দফা দাবীতে ৭ দিনের কর্মসূচীর ঘোষনা করে বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিকলীগ।
এ কর্মসূচীর ৩য় দিনে খুলনার প্লাটিনাম, ক্রিসেন্ট, খালিশপুর, দৌলতপুর, দিঘলিয়ার ষ্টার, আটরা ও নওয়াপাড়া শিল্প এলাকার আলীম, ষ্টার্ণ, জেজেআই, কার্পেটিং মিলের শ্রমিকরা পিপলস গোল চত্বরে শ্রমিক সমাবেশে অংশ নেয়।
মিলগুলিতে থেকে শ্রমিকরা মজুরী কমিশন বাস্তবায়নের দাবীতে বিভিন্ন ¯েøাগান দিয়ে সমাবেশে যোগদান করেন। সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের খুলনা-যশোর অঞ্চলের আহবায়ক মোঃ মুরাদ হোসেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের সভাপতি ও প্লাটিনাম জুবিলী জুট মিল এমপ্লয়ীজ ইউনিয়নের সভাপতি সরদার মোতাহার উদ্দিন। সমাবেশে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক এস,এম কামরুজ্জামান চুন্নু, শ্রমিক নেতা মোঃ সোহরাব হোসেন, ফরাজী নজরুল ইসলাম, আঃ মান্নান, মোঃ সেলিম আকন, বেল্লাল মল্লিক, মাওঃ হেমায়েত উদ্দিন আজাদী, দ্বীন ইসলাম, শেখ মোঃ ইব্রাহিম, পান্নু মিয়া, আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মদ, সাহানা শারমিন, খলিলুর রহমান, কাওসার আলী মৃধা, হুমায়ন কবির খান, আক্তার হোসেন, মিজানুর রহমান মানিক, মোঃ আবু জাফর, মোঃ আনিসুর রহমান, মাহমুদুল হাসানসহ পাটকল শ্রমিক রীগের অন্যান্য নের্তৃবৃন্দ। শ্রমিক সমাবেশে পাটকল শ্রমিক নেতারা তাদের দাবি তুলে ধরেন। দাবির গুলির মধ্যে সরকার ঘোষিত জাতীয় মজুরী ও উৎপাদনশীলতা কমিশন-২০১৫ এর রোয়েদাদসহ উল্লেখিত দাবি ও সুপারিশ বাস্তবায়ন, অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিক কর্মচারীদের পি,এফ, গ্র্যাচুাইটি ও মৃত শ্রমিকের বীমার বকেয় প্রদান, টার্মিনেশন, বরখাস্ত শ্রমিকদের কাজে পূণঃ বহাল, বরখাস্ত শ্রমিক, কর্মচারীদের শ্রম আদালত ও শ্রম ট্রাইবুনালে মামলার রায় পাওয়ার পর কর্তৃপক্ষ নিয়োগকৃত আইন জীবি মামলার না চালানোর মতামত দেয়া সত্বেও বিজেএমসি উচ্চতর আদালতে আপিল করার ফলে মিল গুলি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, এ বিষয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহন করা, সেটআপ অনুযায়ী শ্রমিক-কর্মচারীদের নিয়োগ ও স্থায়ী করা, পাট মৌসুমে পাটক্রয়ের অর্থ বরাদ্ধ, উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষে মিলগুলিকে পর্যাক্রমে বি,এম,আর,ই করাসহ বক্তারা ৯ দফা বাস্তবায়নের দাবী জানান। পাটকল শ্রমিক লীগের ডাকা অন্দোলন কর্মসুচির মধ্যে ১০ মার্চ হরতাল পালনের সমর্থনে লাল পতাকা মিছিল, ১২ মার্চ ২৪ ঘন্টা ধর্মঘট পালন, ১৯ মার্চ আবারো ৪৮ ঘন্টা ধর্মঘট ও বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৪ মার্চ ঢাকায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে পরবর্তি কর্মসুচি ঘোষনা করা হবে বলে শ্রমিক নেতারা জানান।