ভ্যাকসিন ফেলে দেওয়া পরিদর্শকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের শরীরে সুচ পুশ করলেও ভ্যাকসিন প্রবেশ না করিয়ে সিরিঞ্জ ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এক স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
ওই স্বাস্থ্যকর্মীর নাম সাজেদা আফরিন। তিনি দেলদুয়ার উপজেলায় সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক পদে কর্মরত।
স্থানীয়রা জানান, গত রোববার বেলা ১১টার দিকে দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই নম্বর বুথে সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিন ভ্যাকসিন দিচ্ছিলেন। এ সময় ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের শরীরে সুচ পুশ করছিলেন ঠিকই তবে ভ্যাকসিন প্রবেশ না করিয়েই তাড়াহুড়া করে সিরিঞ্জ ঝুরিতে ফেলে দিচ্ছিলেন। বিষয়টি টিকা কেন্দ্রে আসা কয়েকজনের নজরে আসে। তারা আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শামীম হোসেনকে বিষয়টি জানান। পরে ঝুরিতে থাকা পরিত্যক্ত সিরিঞ্জগুলো বের করে দেখেন আরএমও। তখন তিনি সেখান থেকে ২০টি সিরিঞ্জের ভেতর ভ্যাকসিন দেখতে পান। তিনি বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে জানান।
এ ঘটনায় টাঙ্গাইলের ডেপুটি সিভিল সার্জন মো. শামীম হুসাইন চৌধুরীকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সিভিল সার্জন। কমিটি তদন্ত শেষে সোমবার দুপুরে তাদের প্রতিবেদন সিভিল সার্জনের কাছে জমা দিয়েছেন।
তদন্ত কমিটির প্রধান মো. শামীম হুসাইন চৌধুরী জানান, তদন্ত করে তারা ভ্যাকসিন পুশ না করেই সিরিঞ্জ ফেলে দেওয়ার অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন। অভিযুক্ত সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক নিজেও লিখিতভাবে ভ্যাকসিন পুশ না করে সিরিঞ্জ ফেলে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। তার নিজের অসুস্থতা এবং ভ্যাকসিন গ্রহণকারীদের চাপ বেশি থাকায় এমনটি হয়েছে বলে ওই সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক তদন্ত কমিটিকে জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন আবুল ফজল মো. সাহাবুদ্দিন খান তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার কথা স্বীকার করে জানান, প্রতিবেদনটি ঢাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক সাজেদা আফরিনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।