ভ্যাকসিন প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে
৭৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সকাল সোয়া ১০টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বুস্টার ডোজ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, ‘বুস্টার ডোজ নিতে মানুষের আগ্রহ কম লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কারণ করোনা এখন মারাত্মক সংক্রমণ ঘটাচ্ছে না। আজ টিকার ৭৫ লাখ বুস্টার ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি। আজ ৭৫ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ না হলে ভ্যাকসিন কার্যক্রম চলমান থাকবে।’
চলতি জুলাইয়ের শেষে ৫ থেকে ১১ বছরের শিশুদের করোনাভাইরাসের টিকা প্রয়োগ শুরু হবে বলে জানান অধ্যাপক খুরশীদ আলম।
দেশে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি ও তুলনামূলক কম বুস্টার (৩য়) ডোজ কাভারেজ বিবেচনা করে সরকার ১৯ জুলাই দেশব্যাপী ‘কোডিড-১৯ ড্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন’ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নেয়। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিতব্য এই ক্যাম্পেইনে প্রায় ৭৫ লক্ষ মানুষকে বুস্টার ও দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।
ক্যাম্পেইন চলাকালে দেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বিশেষায়িত হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা ও উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া হবে। একদিনে প্রায় ৭৫ লাখ মানুষকে সুষ্ঠুভাবে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যে সারাদেশে প্রায় ১৬ হাজার ১৮১টি টিকা কেন্দ্র (৬২৩টি স্থায়ী ও ১৫ হাজার ৫৫৮টি অস্থায়ী কেন্দ্র) ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ক্যাম্পেইনে একযোগে প্রায় ৩৩ হাজার ২৪৬ জন টিকাদান কর্মী ও ৪৯ হাজার ৮৬৯ জন স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। ক্যাম্পেইনে দ্বিতীয় ডোজ পাওয়ার ৪ মাস হয়েছে এমন ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব জনগোষ্ঠী বুস্টার ডোজ ও প্রথমটি পাওয়ার নির্দিষ্ট সময় হওয়া বিবেচনায় যারা দ্বিতীয় ডোজ নেয়নি তাদের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।