ভ্যাকসিন নিন নয়তো জেলে যান
করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রোদ্রিগো দুতের্তে। তিনি লোকজনকে ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য রীতিমত চাপের মুখে রেখেছেন। সম্প্রতি দুর্তেতে সবাইকে ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য হুমকি দিচ্ছেন যে, হয় ভ্যাকসিন নিন নয়তো জেলে যান। এখন পর্যন্ত কোনো দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে এমন কঠোর হতে দেখা যায়নি।
করোনার ডেল্টা ধরনে আক্রান্তদের সংখ্যা বাড়তে থাকায় ইতোমধ্যেই সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে ফিলিপাইন সরকার। সোমবার এক ভাষণে দুতের্তে বলেন, আপনাকে বেছে নিতে হবে যে, আপনি ভ্যাকসিন নেবেন কীনা। ভ্যাকসিন না নিলে আমি জেলে পাঠাব।
চলতি বছরের মার্চ থেকে ফিলিপাইনে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কিন্তু দেশটির বিভিন্ন ভ্যাকসিন কেন্দ্রে ভ্যাকসিন নেয়া লোকজনের সংখ্যা অনেক কম। ভ্যাকসিনের প্রতি লোকজনের আগ্রহ কম থাকায় ক্ষেপে গেছেন দুতের্তে। যারা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না তিনি তাদের বোকা বলে উল্লেখ করেছেন।
এর আগে করোনা মহামারির মধ্যে যারা লকডাউনের বিধি-নিষেধ অমান্য করছেন তাদের গুলি করে মারার হুমকি দিয়েছিলেন দুতের্তে। সে সময় বেশ কয়েকজন লকডাউন অমান্যকারী কর্তৃপক্ষের হাতে নিহত হয়েছেন বলেও খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে এক বয়স্ক ব্যক্তি এবং সাবেক এক সেনা সদস্য রয়েছেন।
দেশটিতে ১১ কোটি মানুষ রয়েছে যাদের মধ্যে মাত্র ১ দশমিক ৯৫ শতাংশ মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ভ্যাকসিনের ৮৪ লাখ ডোজ সরবরাহ করা হয়েছে। কমপক্ষে ৬২ লাখ মানুষ ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ গ্রহণ করেছেন। অপরদিকে ২১ লাখ ৫ হাজার মানুষ ভ্যাকসিনের দু’টি ডোজই গ্রহণ করেছেন।
ফিলিপাইনে এখন পর্যন্ত ১৩ লাখের বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বর্তমানে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫৬ হাজার। ইতোমধ্যেই করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৩ হাজার ৭শ জন। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন ১৩৮ জন।
যারা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন না দুতের্তে বলেছেন তাদের উচিত দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া। তিনি বলেন, দেশ ছেড়ে চলে যান। হয় ভারত না হয় যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান।