ভোটের রাতে ধর্ষণ: আরও একজন কুমিলায় গ্রেপ্তার
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ভোটের রাতে গৃহবধূকে দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হেঞ্জু মাঝি (২৯) সুবর্ণচর উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের মধ্যম বাগ্যা গ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে। গতকাল শুক্রবার ভোরে কুমিলার দাউদকান্দি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. আবুল খায়ের জানান। গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন রাতে সুবর্ণচরের মধ্যবাগ্যা গ্রামে স্বামী-সন্তানকে বেঁধে রেখে চলিশোর্ধ্ব এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে।
চরজব্বার থানায় ওই নারীর স্বামীর দায়ের করা মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা তার বসতঘরে ভাংচুর করে, ঘরে ঢুকে বাদীকে পিটিয়ে আহত করে এবং সন্তানসহ তাকে বেঁধে রেখে দলবেঁধে ধর্ষণ করে তার স্ত্রীকে।
এ মামলার এজাহারে আসামি না হলেও পুলিশের তদন্ত এবং আসামিদের জবানবন্দিতে হেঞ্চুর জড়িত থাকার প্রমাণ উঠে আসে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তাকে নিয়ে এ মামলায় মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।
ওসি বলেন, ঘটনার পর হেঞ্চু এলাকা ছেড়ে পালিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে বাসের চালকের সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করে। গোপন খবরে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। হেঞ্চুকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হবে বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান। জানান।
ওই নারীর অভিযোগ, ভোটের সময় নৌকার সমর্থকদের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়েছিল। এরপর রাতে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিনের ‘সাঙ্গপাঙ্গরা’ বাড়িতে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে।
মামলার এজাহারে মোট নয়জনকে আসামি করা হলেও সেখানে চর জুবলী ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য রুহুল আমিনের নাম না থাকায় বুধবার রাতে চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুকের কাছে হতাশা প্রকাশ করেন ওই নারী। এরপর সেই রাতেই জেলা সদরের একটি হাঁস-মুরগীর খামার থেকে রুহুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই নারীকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে জানিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছে মেডিকেল বোর্ড। নোয়াখালী হাসপাতালে তার চিকিৎসা চলছে। এ মামলায় গ্রেপ্তারদের মধ্যে বাদশা আলম বাসু, রুহুল আমিন, জসিম উদ্দিন, হাসান আলী ভুলু, মো. সোহেল, স্বপন, বেচু ও মুরাদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচদিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।