ভূমিকম্প, ক্ষয়ক্ষতি কমাতে পূর্ব-প্রস্তুতি
ভূমিকম্প, একটি প্রাকৃতিক দূর্যোগ। এই দূর্যোগ যে কোনো মূহূর্তে হানা দিতে পারে।
সোমবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে সিরিয়া-তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে প্রায় হাজার মানুষের মৃত্যু এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি আমাদের নতুন করে ভাবিয়ে তুলেছে।
ভূমিকম্পের কোনো আগাম সতর্কবার্তা বা প্রতিরোধ ব্যবস্থা নাই, তাই জনসচেতনতা ও যথাযথ র্পূব-প্রস্তুতিই পারে ভূমিকম্প পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে। এ জন্য যা জানতে ও মানতে হবে-
• কম্পন শুরু হলে বালিশ, কম্বল, বই-খাতা, কাঁথা দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে
• কম্পন না থামা পর্যন্ত খাট, ডাইনিং টেবিল, ও রুমের কোণে আশ্রয় নিতে হবে
• চুলা, বিদ্যুৎ চালিত কিছু জ্বালানো থাকলে বন্ধ করতে হবে
• জানালার পাশে দাঁড়ানো একদমই যাবে না
• উঁচু ভবনে থাকলে লিফট ব্যবহার করা যাবে না
• আর আপনি যদি যানবাহনে চলাচল করেন, এমন অবস্থায় ভূমিকম্প শুরু হয়, তখন আপনাকে রাস্তার পার্শ্বের খোলা জায়গায় গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ করে অবস্থান করতে হবে
• ভূমিকম্পের সময় টর্চলাইট হাতে রাখা প্রয়োজন
• ভূমিকম্পের সময় ভাঙা দেয়ালে আপনি যদি চাপা পড়েন তাহলে, কোনো রকম নড়াচড়া করবেন না এবং শ্বাসনালিতে যাতে ধুলাবালি ঢুকতে না পারে সেজন্য যথা সম্ভব নাক-মুখ হাত দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে উদ্ধার কর্মীদের খবর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী, বাংলাদেশে রিখটার স্কেল ৬.৯ মাত্রায় ভূমিকম্প হলে শুধুমাত্র রাজধানী ঢাকাতেই ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে সেই সঙ্গে লাখ লাখ মানুষ মৃত্যু বরণ করবে। বহুতল ভবন নির্মাণ করার আগে আমাদের যেসব বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে
• বাড়ি নির্মাণের ক্ষেত্রে বিল্ডিং কোড মানা
• ভবনের উচ্চতা ও ওজন অনুযায়ী শক্ত ভীত দেওয়া
• অবকাঠামোগুলোতে রেইনফোর্সড কংক্রিট ব্যবহার
• গ্যাস ও বৈদ্যুতিক লাইন নিরাপদ ভাবে তৈরি করতে হবে
• জলাশয় ভরাট করেই বাড়ি বা স্থাপনা নির্মাণ করা যাবে না
• প্রতিটি তলা একই রকম রাখতে হবে।
• বাড়ি নির্মাণের সময় M.S. রড এবং R.C.C কলাম ব্যবহার করতে হবে।
তাই আসুন-আতঙ্কিত না হয়ে মাথা ঠাণ্ডা রেখে জীবনকে নিরাপদ রাখার চেষ্টা করি।