ভিপি নূরকে পেটানোর মামলায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের দুই নেতার জামিন
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর ও তার সঙ্গীদের উপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পৌনে দুই মাস কারাগারে কাটালেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন। ডাকসু ভিপি নুরুল হক নূর ও তার সঙ্গীদের উপর হামলার মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে পৌনে দুই মাস কারাগারে কাটালেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক আল মামুন।
প্রায় পৌনে দুই মাসের মাথায় জামিন পেলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের দুই নেতা, যারা ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নূরের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এরা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন এবং সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইযাসির আরাফাত তূর্য।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ মঙ্গলবার তাদের জামিন মঞ্জুর করেন বলে আদালতের পেশকার ফয়েজ আহমেদ জানিয়েছেন। আদালতে আসামিপক্ষে শুনানি করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আইন সম্পাদক কাজী নজিবুল্লাহ হিরু এবং ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মামুন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু ভবনে হামলার শিকার হয়েছিলেন ভিপি নুরুল হক নূরঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডাকসু ভবনে হামলার শিকার হয়েছিলেন ভিপি নুরুল হক নূরগত ২২ ডিসেম্বর ভিপি নূরের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতাকর্মীদের উত্তেজনা তৈরি হয়। এক পর্যায়ে ডাকসু ভবনে ভিপির কক্ষে নূরসহ তার সহযোগীরা অবস্থান নিলে সেখানে ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
পরে ওই কক্ষে গিয়ে নূর ও তার সহযোগীদের পিটিয়ে আহত করা হয়। পরদিন ২৩ ডিসেম্বর এ ঘটনায় মামুন ও তূর্যসহ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। তার পরদিন এ ঘটনায় শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রইসউদ্দীন বাদী হয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই দিনই এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকার মহানগর হাকিম মো. মইনুল ইসলাম তিন আসামিকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠান। রিমান্ড শেষে ২৮ ডিসেম্বর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলায় আসামি হিসেবে আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়। তারা হলেন- মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সভাপতি এ এস এম সনেট, সাধারণ সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত তূর্য, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা সাধারণ সম্পাদক ইমরান সরকার, কবি জসিম উদদীন হল শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াদ আল রিয়াদ (হল থেকে বহিষ্কৃত), জিয়া হল শাখা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি তৌহিদুল ইসলাম মাহিম ও মাহবুব হাসান নিলয়। মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় ৩০-৩৫ জনকেও আসামি করা হয়।