ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে হাই কোর্টের রুল
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফওজিয়া রেজওয়ানাকে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যক্ষ নিয়োগ নিয়ে রুল দিয়েছে হাই কোর্ট। তাকে নিয়োগ দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ মঙ্গলবার এ রুল জারি করে।
তবে ওই প্রজ্ঞাপনে কোনো স্থগিতাদেশ না দেওয়ায় অধ্যক্ষ হিসেবে ফওজিয়ার কাজে যোগ দিতে কোনো বাধা নেই বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। এই রিট আবেদনের পর মঙ্গলবার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত ফওজিয়ার ভিকারুননিসায় যোগদান সম্পন্ন না করতে বলেছিলে হাই কোর্ট।
ঢাকার সবুজবাগ সরকারি মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হিসাবে দায়িত্ব পালনরত ফওজিয়াকে প্রেষণে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসার নতুন অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে গত রোববার শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপন জারি করে।
তাকে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ। আদালতে আবেদনের পক্ষে ইউনুছ আলী নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
শুনানিতে মাহবুবে আলম বলেন, ২০০৯ সালের রেগুলেশনের ৪১(২)(খ)(৪) ধারা অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা পরিচালনা পর্ষদের হলেও সেখানে অধ্যক্ষ নিয়োগের বিষয়ে বলা নেই। শুধু শিক্ষক-কর্মচারীর কথা রয়েছে।
আবেনকারী ইউনুছ আলীর দাবি, সরকার নিয়ম ভেঙে মাউশির একজন কর্মকর্তাকে ভিকারুননিসায় অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে।
এক বছর ধরে অধ্যক্ষ নেই ভিকারুননিসা স্কুল ও কলেজে। গত বছর বেইলি রোডের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নবম শ্রেণির ছাত্রী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার ঘটনায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মুখে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজনীন ফেরদৌসসহ তিন শিক্ষককে সরিয়ে দেওয়া হয়।
এরপর থেকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব চালিয়ে আসছেন কলেজ শাখার সহকারী অধ্যাপক হাসিনা বেগম। এরপর গত এপ্রিলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া প্রায় চূড়ান্ত হলেও অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় তা বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।