December 22, 2024
আঞ্চলিকলেটেস্ট

ভাষা আন্দোলনে প্রকৃত ইতিহাস ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে

আ’লীগের আলোচনা সভায় সিটি মেয়র

 

দ. প্রতিবেদক

খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বঙ্গবন্ধুই ভাষা আন্দোলনের অন্যতম নেতা ছিলেন। বঙ্গবন্ধু আর ভাষা আন্দোলনের নেতৃত্ব এক এবং অভিন্ন। তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগ, তমুদ্দন মজলিশ ও অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের নেতৃত্বে গঠিত হয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ। ওই সংগঠনের নেতা ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘটে নেতৃত্বদান কালে গ্রেফতার হন। তিনি ১৫ মার্চ কারাগারে থেকে মুক্তি পান। ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আমতলায় অনুষ্ঠিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন। মাতৃভাষার দাবিতে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারাদেশে। তিনি ফরিদপুর থেকে ১৯৪৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর, ১৯৪৯ সালে ১৯ এপ্রিল এবং ১৪ অক্টোবর পৃথক ভাবে গ্রেফতার হন। বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার নির্যাতনে ভয় পাননি। তিনি কারাগারে থেকে আন্দোলনের সকল দিকনির্দেশনা চালিয়ে গিয়েছেন। বাইরে দুর্বার আন্দোলন চলেছে। কারাগারের মধ্যে বঙ্গবন্ধু অনশন শুরু করেন। একটানা ২৩ দিন বঙ্গবন্ধু অনশন করেছিলেন। পাক শাসকেরা বঙ্গবন্ধু’র উপর নির্যাতন চালিয়ে অনশন ভঙ্গ করান। সেই দুর্বার আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রæয়ারি রাষ্ট্রভাষা বাংলা স্বীকৃতি পায়। আসে আন্দোলনের সফলতা।

তিনি বলেন, যেকোন অর্জনের পেছনে থাকে বড় ধরনের ত্যাগ। রফিক, শফিক, বরকত, সালামসহ শহীদ এবং বঙ্গবন্ধু’র ত্যাগের কারনেই সেই সফলতা অর্জিত হয়েছিলো। বিভ্রান্তিকর তথ্য নয়, সঠিক তথ্যের মাধ্যমে ভাষা আন্দোলনে প্রকৃত ইতিহাস বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে।

শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় প্রভাতফেরি শেষে দলীয় কার্যালয়ে মহানগর ও জেলা আওয়মী লীগের আলোচনা সভা সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময়ে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ, মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য এ্যাড. চিশতি সোহরাব হোসেন শিকদার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোল্লা জালাল উদ্দিন। সভা পরিচালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন, আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, কাজী এনায়েত হোসেন, মল্লিক আবিদ হোসেন কবীর, বি এম এ সালাম, আবুল কালাম আজাদ, এ্যাড. রজব আলী সরদার, নুর ইসলাম বন্দ, আবুল কালাম আজাদ কামাল, কামরুজ্জামান জামাল, এ্যাড. আইয়ুব আলী, এ্যাড. নবকুমার চক্রবর্তী, শ্যামল সিংহ রায়, মকবুল হোসেন মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, এ্যাড. নিমাই চন্দ্র রায়, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, জোবায়ের আহমেদ জবা, ফেরদৌস আলম চাঁন ফরাজী, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, হালিমা ইসলাম, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, অধ্যা. মিজানুর রহমান, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান, কামরুল ইসলাম বাবলু, হাফেজ মো. শামীম, এ্যাড. মো. শাহ আলম, মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, শেখ মোশাররফ হোসেন, মো. শাহাজাদা, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, জয়ন্তী রানী সরদার, শোভারাণী হালদার, অসিত বরণ বিশ্বাস, হাজী নুরুজ্জামান, মো. মোতালেব মিয়া, রনজিত কুমার ঘোষ, সফিকুর রহমান পলাশ, মো. মোতালেব হোসেন, শেখ মো. আবু হানিফ, শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন, পারভেজ হাওলাদার, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মো. ইমরান হোসেন, মাহাবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, হাসান ইফতেখার চালু, মঈনুল ইসলাম নাসির, শেখ আবিদ উল্লাহ, চ.ম মুজিবর রহমান, এ্যাড. ফারুক হোসেন, শেখ জাহিদ হোসেন, মুন্সি আইয়ুব আলী, আব্দুল হাই পলাশ, শেখ আব্দুল আজিজ, ফেরদৌস হোসেন লাবু, নুর ইসলাম, জামিরুল হুদা জহর, জাহিদুল হক, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, মীর মো. লিটন, মো. শিহাব উদ্দিন, মো. জাকির হোসেন, অহিদুজ্জামান পলাশ, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, ইউসুফ আলী খান, ফয়েজুল ইসলাম টিটো, এমরানুল হক বাবু, সরদার আব্দুল হালিম, মো. মোতালেব মিয়া প্রমুখ।

আলোচনা সভার শুরুতেই সকল শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দাড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এর আগে দিবসের প্রথম প্রহরে ১২.০১ মিনিটে শহীদ হাদিস পার্কে শহীদ মিনারে পুষ্পার্ঘ অর্পন করা হয়। সকাল ৭.১৫ মিনিটে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিত করণ, কালো পতাকা উত্তোলন, কালো ব্যাজ ধারন করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। সকাল ৭.৩০ মিনিটে দলীয় কার্যালয় হতে প্রভাত ফেরি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে শহীদ হাদিস পার্কে শ্রদ্ধা নিবেদন করে দলীয় কার্যালয়ে আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শেষ করা হয়।

 

 

 

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *