ভারতে সাড়ে ৭ মাস পর দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের প্রভাবে ভারতে আবারও সংক্রমণ বেড়েছে। চলতি মাসের শুরুর দিকে যেখানে দৈনিক সংক্রমণ ১০-১৫ হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল সেটা ১০ দিনে দেড় লাখ অতিক্রম করেছে। সেই ধারাবাহিকতায় ভারতে আজ দৈনিক সংক্রমণ পৌনে দুই লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গতকালের তুলনায় এদিন আক্রান্ত বেড়েছে সাড়ে ১২ শতাংশেরও বেশি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) প্রকাশিত দেশটির কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) ভারতে করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭২৩ জন। এটি গত বছরের ২৭ মের পর সর্বোচ্চ শনাক্ত। সেদিন সংক্রমিত হয়েছিল ১ লাখ ৭৯ হাজার ৭৭০ জন। অর্থাৎ সাড়ে ৭ মাস পর ভারতে দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড হলো।
এ নিয়ে সংক্রমিত রোগী ৩ কোটি ৫৭ লাখ ছাড়ালো। আর করোনায় আক্রান্ত হয়ে এদিন ১৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া এদিন ৪১০ জন ওমিক্রনে সংক্রমিত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশটিতে ওমিক্রনে সংক্রমিত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো চার হাজার ৩৩ জন।
দেশটিতে সংক্রমণের হারও লাফিয়ে বাড়ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিবেদন বলছে, দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ২৯ শতাংশ। গত ২ জানুয়ারি এই হার ছিল তিন শতাংশের নিচে। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে পুরো চিত্র বদলে গেছে।
সংক্রমণের পাশাপাশি ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রে দৈনিক কোভিড সংক্রমিতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় সেখানে ১২ জনের মৃত্যুসহ নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৪৪ হাজার ৩৮৮ জন। এছাড়া মহারাষ্ট্রে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। তারপরেই রয়েছে দিল্লি। রাজধানীতে ২২ হাজার ৭৫১ জন সংক্রমিত হয়েছেন। যা গত বছরের মে মাসের পর দৈনিক সংক্রমণের হিসাবে সর্বোচ্চ।
২৪ ঘণ্টায় করোনার নতুন ধরন ওমিক্রনে সংক্রমিত হয়েছেন ৪১০ জন। ফলে দেশে মোট ওমিক্রন সংক্রমিতের সংখ্যা চার হাজার ছাড়ালো। এখন পর্যন্ত ভারতের ২৭টি রাজ্যে ওমিক্রনের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। তার মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যে ওমিক্রন সংক্রমিতের সংখ্যা ১ হাজার ২১৬ জন। তারপরে রাজস্থানে ৫২৯ জন, দিল্লিতে ৫১৩ জন, কর্ণাটকে ৪৪১ জন, কেরালায় ৩৩৩ ও গুজরাটে ২৩৬ জন সংক্রমিত হয়েছেন।