January 19, 2025
আন্তর্জাতিককরোনা

ভারতে টিকাদান শুরু ১৬ জানুয়ারি, ২৮ জানুয়ারি ‘করোনা নিয়ন্ত্রণে’

করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় ভারতে গত ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে টিকাদান কর্মসূচি। এর মাত্র ১২ দিন পরেই দেশটিতে সংক্রমণ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে চলে আসার দাবি করেছেন ভারতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম জনসংখ্যার দেশ ভারত করোনা সংক্রমণের দিক থেকেও বর্তমানে দ্বিতীয় অবস্থানে। প্রাণঘাতী ভাইরাস মোকাবিলায় তাই ‘বিশ্বের বৃহত্তম টিকাদান কর্মসূচি’ শুরু করেছে ভারতীয় সরকার।

ভারতের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ইতোমধ্যে তাদের প্রায় ২৪ লাখ লোককে দেয়া হয়েছে করোনার টিকা। তবে এরচেয়েও বড় ‘সুখবর’, দেশটির এক-পঞ্চমাংশ জেলায় গত সাতদিনে একজনও নতুন কোভিড রোগী শনাক্ত হননি।

বৃহস্পতিবার ভারতীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষবর্ধন বলেছেন, ‘ভারত সফলভাবে মহামারি নিয়ন্ত্রণে এনেছে।’ গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ১২ হাজারেরও কম নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

হর্ষবর্ধন বলেছেন, ভারতের ৭১৮টি জেলার মধ্যে ১৪৬টিতে এক সপ্তাহ ধরে নতুন সংক্রমণ নেই। দুই সপ্তাহ নতুন রোগীবিহীন প্রায় ১৮টি জেলা।

ভারত সরকার জানিয়েছে, সংক্রমণের হার কমে আসায় আগামী ১ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি সুইমিং পুল, সিনেমা হল ও থিয়েটারগুলোতে ৫০ শতাংশ ধারণক্ষমতার বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হতে পারে।

ভারতে এপর্যন্ত ১ কোটি ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১ লাখ ৫৩ হাজার ৮৪৭ জন। আক্রান্তের সংখ্যার তুলনায় অবশ্য দেশটিতে করোনায় মৃত্যুহার অনেক কম।

ভারতের অন্যতম শীর্ষ ডায়াগনস্টিক প্রতিষ্ঠান থাইরোকেয়ার টেকনোলজিস বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, তারা এপর্যন্ত সাত লাখের মতো অ্যান্টিবডি টেস্ট করেছে। এ থেকে ধারণা করা হচ্ছে, দেশটিতে অন্তত ৫৫ শতাংশ মানুষ ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে, ধারাবাহিক সংক্রমণ বন্ধ করতে হলে কোনো দেশের ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মানুষের মধ্যে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা থাকতে হয়।

ভারতের টিকাদান কর্মসূচির এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেছেন, তারা এখনো ওই পর্যায়ে গেছেন বলে মনে করেন না তিনি।

বিনোদ কুমার পাল নামে ওই ভারতীয় কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, ‘আমাদের বেশিরভাগ জনবহুল জেলা ও শহরে এখন মহামারি চলছে… আপনি হয়তো বলতে পারেন, হার্ড ইমিউনিটির ব্যাপ্তি বেড়েছে।’

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *