ভারতে করোনাভাইরাস ঠেকাতে হটস্পটগুলো সিল করা হচ্ছে
ভারতে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে হটস্পটগুলো চিহ্নিত করে তা ‘সিল’ করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। উত্তরপ্রদেশ প্রথম এ পদ্ধতি প্রয়োগ করতে চলেছে
তাছাড়া, রাজধানী দিল্লি, মুম্বাই এবং দক্ষিণের কিছু এলাকাতেও হটস্পটগুলো সিল করে দেওয়া এবং অন্যান্য জায়গায় কড়াকড়ি শিথিল করার কথা ভাবা হচ্ছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি তিন সপ্তাহের লকডাউনের কারণে যে অর্থনৈতিক সঙ্কট দেখা দিয়েছে তা থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় হিসাবেই এমন পদক্ষেপের কথা ভাবা হচ্ছে বলে বুধবার জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
এনডিটিভি জানায়, উত্তরপ্রদেশ সরকার রাজ্যের ১৫ টি জেলাজুড়ে ছড়িয়ে থাকা হটস্পটগুলো ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত ‘সিল’ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ৬ জন বা তার বেশি মানুষ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া এলাকাগুলোকেই হটস্পট হিসাবে চিহ্নিত করেছে রাজ্য সরকার।
এ তালিকায় আছে, লখনউ, গৌতমবুদ্ধ নগর, গাজিয়াবাদ, মীরাট, আগ্রা, শাম্লী, সাহারানপুর ও নয়ডার মতো এলাকা। মধ্যরাত থেকেই এলাকাগুলো সিল করা হচ্ছে। এ অবস্থায় সাধারণ মানুষের প্রয়োজনীয় সব জিনিস বাড়ি বাড়ি গিয়ে পৌঁছে দেওয়া হবে।
বুধবার ভিডিও কনফারেন্সে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি এবং লকডাউনের মেয়াদ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্বদলীয় বৈঠক করার সময়ই হটস্পট সিল করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করে উত্তরপ্রদেশ সরকার। এ প্রদেশে ৩২৬ জন আক্রান্ত হয়েছে এবং ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২১ জন সুস্থও হয়েছেন।
দিল্লির পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। সেখানে ৫৭৬ জন আক্রান্ত এবং ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। যে এলাকায় গত দু’সপ্তাহে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়েছে সেগুলোকে এবং যেখানে জনঘনত্ব অনেক বেশি সে এলাকাগুলোকেও হটস্পট হিসাবে দেখছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার।
প্রধানমন্ত্রী মোদী সর্বদলীয় বৈঠকে ২১ দিনের লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন। আগামী ১১ এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও বৈঠকের পর এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হওয়ার কথা।
গরিব পরিযায়ী শ্রমিক ও তাদের পরিবারগুলোর দুর্দশার কারণে বেশ কিছু জায়গায় লকডাউনে কড়াকড়ি শিথিল করার চাপে আছেন মোদী।
সরকারি তথ্যানুযায়ী, ভারতের ৬২ টি জেলা অর্থাৎ, গোটা ভূখন্ডের ১০ শতাংশের কম এলাকায় ৮০ শতাংশের বেশি মানুষের করোনাভাইরাস ‘পজিটিভ’ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে আছে মহারাষ্ট্র, দিল্লিসহ দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য তামিল নাড়ু, তেলেঙ্গানা এবং কেরালা।
ভারতজুড়ে অন্যান্য আরো বহু জায়গাই আছে যেখানে একজনও করোনাভাইরাস আক্রান্ত হননি।
একারণেই কেবলমাত্র আক্রান্ত জায়গাসহ এর আশেপাশের এলাকাগুলোকে ঘিরে রেখে অন্যান্য এলাকায় কড়াকড়ি শিথিলের বিষয়টি গুরুত্ব পেয়েছে।