ভারতের অভিযোগ ভিত্তিহীন বলল পাকিস্তান
কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে ভারতীয় বিমান বাহিনী বালাকোটের ‘জঙ্গি ঘাঁটিতে’ তুমুল হামলা চালিয়েছে বলে নয়া দিল্লি যে দাবি করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে ইসলামাবাদ।
হামলায় ‘ক্ষয়ক্ষতি ও প্রচুর প্রাণহানির’ খবরকেও ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তারা।
মঙ্গলবার পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ডাকে দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) বৈঠক শেষে দেওয়া বিবৃতিতে এসব জানানো হয় বলে খবর ডনের।
ভারতীয় বিমান বাহিনীর কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রমের ঘটনায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হওয়া এ বৈঠকে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল জাফর মাহমুদ আব্বাসি, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মুজাহিদ আনোয়ার খানসহ উর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
“বালাকোটের কাছে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটিতে হামলার যে দাবি ভারত করছে, তা কড়াভাবে প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে। একইসঙ্গে যে ক্ষয়ক্ষতির দাবি করছে তাও প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে,” বৈঠকের পর দেওয়া বিবৃতিতে বলেছে এনএনসি।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে ফায়দা নিতেই ভারত সরকার এ হামলা চালিয়েছে বলেও ভাষ্য তাদের।
“আবারও একবার ভারত সরকার তাদের নিজেদের পরিবেশিত বেপরোয়া ও কল্পিত দাবি নিয়ে হাজির হয়েছে। এটা করা হয়েছে দেশের ভেতরকার নির্বাচনী পরিবেশ থেকে ফায়দা নিতে; আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতাকে ফেলা হয়েছে ভয়াবহ বিপদে,” বলা হয় বিবৃতিতে।
ভারতের চালানো হামলাস্থলটি সাংবাদিকদের দেখানো হয়েছে বলেও জানিয়েছে এ পাক নিরাপত্তা কমিটি।
“কী হয়েছে তা দেখার জন্য হামলাস্থল সবার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলোকেও সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
ভারতের এ আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়া পাকিস্তান সময়মত দেবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে এনএসসি।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল জাফর মাহমুদ আব্বাসি, বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মুজাহিদ আনোয়ার খানসহ উর্ধ্বতন সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা এনএসসির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার সকালে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশী ইসলামাবাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাবেক সচিব ও জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছেন।
বৈঠকে কোরেশী বলেছেন, পাকিস্তান শান্তি চাইলেও ভারত আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বিনষ্টে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
ইসলামাবাদ দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়েই এগিয়ে যাবে, পররাষ্ট্র মন্ত্রী এমন মন্তব্য করেছেন বলেও জানিয়েছে রেডিও পাকিস্তান।