November 25, 2024
আন্তর্জাতিক

ভাইপোর হাঁসের ‘আক্রমণে’ চাচার মুরগির মৃত্যু, থানায় অভিযোগ

হাঁস-মুরগি অবলা প্রাণী। তবে কখনো কখনো তারা আক্রমণাত্মক হয়ে উঠতে পারে, বেধে যেতে পারে লড়াই। বাড়িতে যাদের হাঁস-মুরগি রয়েছে, তারা এমন দৃশ্য অবশ্যই দেখেছেন। কিন্তু কখনো শুনেছেন কি, কেউ ইচ্ছা করে হাঁস-মুরগি দিয়ে আক্রমণ করিয়ে প্রতিপক্ষের ক্ষতি করিয়েছে? না শুনলে আজ শুনুন।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এমন অদ্ভুত অভিযোগ নিয়ে থানায় হাজির হয়েছিলেন ভারতের এক বৃদ্ধ। তার দাবি, ভাইপো ইচ্ছা করে ‘হিংস্র’ হাঁস দিয়ে আক্রমণ করিয়ে তার দামি মুরগি মেরে ফেলেছে। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের কাশীপুর থানায় ঘটেছে এ ঘটনা।

ঠিক কী ঘটেছিল? ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর খবর অনুসারে, কাশীপুর থানার বামুনিয়া গ্রামের বদ্যিপাড়ায় বাড়ি মোহাম্মদ আলি মোল্লার। স্ত্রী তসলিমা বিবি ও এক পুত্র ছাড়াও তার সংসারে রয়েছে দুটি গরু ও কয়েকটি মুরগি। অনেক যত্ন নিয়ে পোষ্যগুলো লালনপালন করেন তিনি।

মোহাম্মদ আলির অভিযোগ, আমার বাড়ির পাশেই ভাইপো শরিফুল মোল্লার বাড়ি। আমার মুরগি পোষা দেখে সে হাঁস পুষছে। হাঁসগুলো খুবই হিংস্র। আমার মুরগি উঠানে ঘুরে বেড়াচ্ছে দেখলেই হাঁসগুলো তেড়ে আসে। ভাইপো ও তার স্ত্রী এ নিয়ে কখনো কোনো ব্যবস্থাও নেয়নি।

ভুক্তভোগীর দাবি, সোমবার দুপুরে ভাইপোর একটি হাঁস আমাদের বাড়িতে এসে মুরগি আক্রমণ করে ও ক্ষতবিক্ষত করে। ভাইপো তখন পাশে দাঁড়িয়ে থাকলেও হাঁসটিকে আটকায়নি। পরে অনেক চেষ্টা করেও আহত মুরগিকে বাঁচাতে পারলাম না। এ নিয়ে ভাইপোকে বলতে গেলে সে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেছে। শুধু তাই নয়, আমার বাকি মুরগিগুলোও হাঁস দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে। আমি খুব আতঙ্কে রয়েছি।

ঘটনার পর সন্ধ্যায় বিষয়টি নিয়ে পাড়ার গণমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন বৃদ্ধ চাচা। স্থানীয় উপ-প্রধানের কাছেও নালিশ দেন। কিন্তু তারা বিষয়টিতে কিছু করতে পারবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তারপরই সোজা কাশীপুর থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান মোহম্মদ আলি।

বৃদ্ধ দুঃখ করে বলেন, কয়েকদিন পরেই মুরগিটা ডিম পাড়তো। অন্তত দু’বছরে কয়েকশ ডিম দিতো সেটি। কিন্তু তার আগেই সব শেষ হয়ে গেলো।

চাচার অভিযোগকে গুরুত্ব দিয়ে মঙ্গলবার কাশীপুর থানায় ডেকে পাঠানো হয় অভিযুক্ত শরিফুল মোল্লাকে। দু’দিনের মধ্যে তাকে ক্ষতিপূরণের অর্থ বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *