বয়সটাকে লক করে দিন
বয়স বেড়ে যাচ্ছে, চেহারায়-ফিগারে তার ছাপ পড়তে শুরু করেছে, এটা দেখে অনেকেরই মন খারাপ হয়। বয়স তো প্রকৃতির নিয়মেই চলবে, তবে চেহারা ও শরীরের তারুণ্য ধরে রাখা যায় অনেক দিন। যদি কিছু টিপস মেনে চলতে পারি। কী সেই ম্যাজিক(!) জেনে নিন:
পরিশ্রম ছাড়া কিছুই মেলে না, সৌন্দয্য আর সুস্থতা কীভাবে থাকবে? এর জন্য প্রয়োজন নিয়মিত ব্যায়াম। বয়সকে ধরে রাখার সবচেয়ে কার্জকর পন্থা, প্রিতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম করা।
খাবার
দামি খাবারই ভালো খাবার, এটা ভাবার কোনো কারণ নেই। ভিটামিন সি, ই, ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার খান। টাটকা ফল, সবজি, ডিম, দুধ আর মাছ থেকেই আমরা এগুলো পেতে পারি।
পরিবর্তনগুলো লক্ষ্য রাখুন
প্রতিনিয়ত আমাদের শরীরে পরিবর্তন ঘটছে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিতে পারে রক্তচাপ, হৃদরোগ বা ডায়াবেটিস। শারীরিক যেকোনো সমস্যা হলে অবহেলা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ওজন নিয়ন্ত্রণ
বয়স এবং উচ্চতা অনুপাতে আপনার ওজন ঠিক রাখার চেষ্টা করুন। ওজন বেশি বা কম হলে সে অনুযায়ী খাবার খেতে ও ব্যায়াম করতে হবে।
চর্বি
হৃদপিণ্ড জটিলতার অন্যতম কারণ ফ্যাট বা চর্বি। লাল মাংস বা মাংসজাত খাবার, কেক, বিস্কুটের মধ্যে উচ্চমাত্রায় ফ্যাটি এসিড থাকে। যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। তবে সব ধরনের ফ্যাট কিন্তু ক্ষতিকর না। মৃত্যুর ঝুঁকি কমায় এমন ফ্যাটও রয়েছে বাদাম, তেলসমৃদ্ধ মাছ এবং দুগ্ধজাতীয় খাবারে।
দূষণ
আমাদের চারপাশে পরিবেশ দূষণ, শব্দ, পানি, বায়ু দূষণ খুবই পরিচিত দৃশ্য। এসব পরিবেশগত সমস্যা থেকে তৈরি হচ্ছে স্বাস্থ্য সমস্যা। নিজে সতর্ক হোন, অন্যকে সতক করুন চারপাশ পরিষ্কার রাখতে। বাইরে বের হলে মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন। বাইরের খোলা খাবার খাবেন না, খাবার খাওয়ার আগে জীবাণুনাশক সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।
অভ্যাসগুলো দূরে থাক
ধূমপান, অ্যালকোহল সব ধরনের মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে। সব বদঅভ্যাস ত্যাগ করে জীবনকে সুন্দর পথে চলার সুযোগ দিন। সুস্থ-সুন্দর জীবন উপভোগ করুন, তারুণ্য ধরে রেখে।