December 22, 2024
জাতীয়

বড় পুকুরিয়া দুর্নীতি মামলা ছয় মাসে নিষ্পত্তির নির্দেশ

দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
খালেদা জিয়াসহ ১০ আসামির বিরুদ্ধে দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার বিচার শুরুর পথ তৈরি হয়েছে হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের মধ্য দিয়ে। সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার আমিনুল হকের এক আবেদন এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম আটকে ছিল গত ১১ বছর ধরে।
বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুলআলমের হাই কোর্ট বেঞ্চ সোমবার ওই আবেদন খারিজ করে দিয়ে ছয় মাসের মধ্যে বিচারিক আদালতে মামলাটির নিষ্পত্তি করতে বলেছে। ব্যারিস্টার আমিনুলের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার অনিক আর হক। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
আদেশের পর অনিক আর হক বলেন, ঢাকার দ্বিতীয় বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি অভিযোগ গঠনের শুনানি পর্যায়ে রয়েছে। মঙ্গলবার এ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ রয়েছে।
দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, ব্যারিস্টার আমিনুল হকের আবেদনে ২০০৯ সাল থেকে বড় পুকুড়িয়া দুর্নীতি মামলার কার্যক্রমের ওপর হাই কোর্টের স্থগিতাদেশ ছিল। তখন জারি করা রুলটির উপরে দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ তা খারিজ করে রায় দিয়েছে আদালত।
রায়ে আদালত নির্দেশ দিয়েছে মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হবে। আগামীকালই মামলাটির দিন ধার্য আছে। আশা করি কাল থেকেই মামলা চলবে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলার ১৬ আসামির মধ্যে ছয়জন বিভিন্ন সময়ে মারা গেছেন। এখন ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে।
এ মামলার বৈধতা নিয়ে খালেদা জিয়াও একটি রিট আবেদন করেছিলেন। ২০১৫ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি মো. নূরুজ্জামান ও বিচারপতি আবদুর রবের হাই কোর্ট বেঞ্চ তা খারিজ করে দেয় । পরে আপিল বিভাগেও তা খারিজ করে দেয়।
বিগত সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ২৬ ফেব্র“য়ারি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া এবং তার মন্ত্রিসভার ১০ সদস্যসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনি দুর্নীতি মামলা হয়। ওই বছর ৫ অক্টোবর ১৬ জনের বিরুদ্ধেই অভিযোগপত্র দেয় দুদক।
চীনা প্রতিষ্ঠান কনসোর্টিয়াম অফ চায়না ন্যাশনাল মেশিনারিজ ইম্পোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) সঙ্গে বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, ব্যবস্থাপনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রের প্রায় ১৫৮ কোটি ৭১ লাখ টাকার ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয় অভিযোগপত্রে।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *