ব্রেকআপেই তবে সমাধান!
পলাশ-জারার সম্পর্ক দীর্ঘ তিন বছরের। বেশ চলছিল, তবে এখন আর সম্পর্কটা সেভাবে কাজ করছে না। আগের সেই টান যেন নেই, একজনের কোনো কথাই সহজে নিতে পারেন না অন্যজন। এই যখন অবস্থা, দু’জনে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ব্রেকআপেই হোক সমাধান।
একটি সম্পর্ক কেউ ভেঙে দেয়ার জন্য করে না। তবে নানা কারণে সম্পর্কটি ভেঙে যেতেই পারে। যদি জীবনে এমন পরিস্থিতি আসে, যে একটি সম্পর্ক থেকে বের হয়ে যাওয়াই দু’জনের জন্যই ভালো হয়। তাহলে সম্পর্কের সমাপ্তি যেন সম্মানের সঙ্গে হয়, এই বিষয়টি লক্ষ্য রাখা দু’জনেরই দায়িত্ব।
কীভাবে হতে পারে সেই বেরিয়ে আসার পথ:
• চিঠি লেখা, এসএমএস বা ই-মেইল করার চেয়ে ভালো কিছু হতে পারে না। কারণ এর মাধ্যমে তিনি তার অনুভূতির বিশদ বর্ণনা দিতে পারবেন। আবার যিনি বাগ-বিতণ্ডা বা সংঘাত এড়িয়ে চলতে চান, তার জন্যও এটি সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি
• ফেসবুক, টুইটার বা এমন সামাজিক যোগাযোগর বিভিন্ন সাইটে মন বিচ্ছেদের স্টেটাস দেয়া ঠিক নয়
• সম্পর্ক ভাঙার সবচেয়ে ভালো পথ হলো ধীরে এবং দৃঢ়ভাবে এগোনো। এর অর্থ হলো সঙ্গীকে বোঝানো যে, আমাদের সম্পর্কটি আর আগের মতো কাজ করছে না। তবে এ ধারণার প্রতি অভ্যস্ত হওয়ার জন্য আপনার সঙ্গীকেও কিছু সময় দিতে হবে
• সব অপরাধের দায় সঙ্গীর কাঁধে চাপাবেন না
• যদি আপনার সঙ্গী খুব আবেগপ্রবণও হয়ে থাকেন, তবু আপনি তার সঙ্গে কোনো মিথ্যা প্রতিজ্ঞা করবেন না
• সঙ্গীর দিকটা বোঝার চেষ্টা করুন। উনিও যাতে আপনার দিকটা বুঝতে পারেন সেই ব্যাপারে সাহায্য করুন
• কোনো ভাবেই অন্যকে হেয় করার জন্য তার এমন কোনো ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করবেন না, যা তিনি আপনাকে বিশ্বাস করে জানিয়েছিলেন।
সরাসরি কথা বলে সম্পর্কে এমনভাবে ইতি টানুন, যেন কখনো দেখা হলে বা কথা হলে নিজেদের অনন্ত বন্ধু মনে করতে পারেন।