ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হত্যা মামলায় দম্পতির মৃত্যুদণ্ড
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাত বছর আগে একটি হত্যা মামলায় এক ব্যক্তি ও তার স্ত্রীকে মৃত্যুদÐ দিয়েছে আদালত। গতকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক সাবেরা সুলতানা খানম এ রায় ঘোষণা করেন। দÐিতরা হলেন- নায়ায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জের আমিরুদ্দীনের ছেলে আফজাল কৈয়া ও তার স্ত্রী হেলেনা বেগম।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শরিফুল ইসলাম জানান, এ মামলায় আমিরুদ্দীনকে যাবজ্জীবন কারাদÐ এবং দশ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়া হয়েছে। এ অর্থ আনদায়ে তাকে আর আরও ছয় মাসের কারাদÐ ভোগ করতে হবে। এছাড়া অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় আমিরুদ্দিনের অপর দুই ছেলে মো. সুমন ও ওমর ফারুককে এ মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আফজাল ও আমিরুদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। আর হেলেনা আদালত থেকে জামিনে পলাতক রয়েছেন বলে পিপি জানান।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর সকালে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের কানাইনগর গ্রামের মেঘনা নদীর পাড় থেকে শুক্কুর আলী উরফে ফালান মিয়া নামে এক ব্যক্তির গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়েরের পর পুলিশ আমিরুদ্দীন ও তার দুই ছেলে সুমন ও ওমরকে গ্রেপ্তার করে। পরে হেলেনকে গ্রেপ্তার করা হলে তিনি জবানবন্দিতে বলেন, একটি জমির রেজিস্ট্রেশন করে দেওয়াকে কেন্দ্র করে শুক্কুরকে মরিচাকান্দিরে দাওয়াত খাওয়ার কথা বলে নিয়ে যাওয়া হয়।
সেখানে হেলেনা একটি ছুরি দিয়ে শুক্কুরের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের পর তাকে হত্যা করেন। পরে তার লাশ নদীতে ফেলে দেন। আর এ ঘটনায় তার স্বামী তাকে সহায়তা করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ ২০১৩ সালের ২৯ মে এ মামলায় পাঁচজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বিচারকাজ শুরু করে আদালত।