ব্রাজিল শিরোপা জিতবে, রেফারির কিছু করার থাকবে না
পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই রেফারিদের নিয়ে বেশ কয়েকবার অভিযোগ উঠেছে। শেষ পর্যন্ত ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার মধ্যকার সেমিফাইনালের পরে রেফারিংয়ের বিপক্ষে মুখ খোলেন স্বয়ং লিওনেল মেসিও। এমনকি আনুষ্ঠানিকভাবেই রেফারিংয়ের বিপক্ষে অভিযোগ করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার (০৬ জুলাই) দিবাগত রাতে কোপা আমেরিকার তৃতীয় স্থান নির্ধারনীতে মুখোমুখি হয় আর্জেন্টিনা ও চিলি। পুরো ম্যাচ জুড়েই একাধিকবার মেসিকে আক্রমণ করেন চিলির ফুটবলাররা। বিশেষ করে চিলির ডিফেন্ডার গ্যারি মেডেল একাধিকবার ধাক্কা দিলেও মেসি ছিলেন নির্লিপ্ত। তবে ৩৭ মিনিটের মাথায় পাওলো দিবালার বাড়ানো বল মাঠের মধ্যে রাখতে গিয়ে গ্যারি মেডেলের সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায় মেসির।
এই ঘটনার জেরেই মেডেলের পাশাপাশি মেসিকে দেখতে হয় লাল কার্ড। প্রায় ১৪ বছর পর দ্বিতীয়বারের মতো লাল কার্ড দেখতে হয়েছে মেসিকে। ২০০৫ সালে আর্জেন্টিনার জার্সিতে নিজের অভিষেক ম্যাচেই প্রথম লাল কার্ড দেখেছিলেন মেসি।
ম্যাচে আর্জেন্টিনা ২-১ গোলে জয় পেলেও নিজের রাগ সংযত করতে পারেননি আর্জেন্টিনা অধিনায়ক। বলেই বসেন, ‘দুর্ভাগ্যজনক হলেও, আমি এখনই দেখতে পাচ্ছি এবারের শিরোপা জিতবে ব্রাজিল। ফাইনাল ম্যাচে রেফারি কিংবা ভিএআরের কিছুই করার থাকবে না।’
‘আমার খুব রাগ লাগছে কারণ এই লাল কার্ড আমার জন্য না। দুর্ভাগ্যজনকভাবে হলেও এই টুর্নামেন্টে অনেক দুর্নিতি হয়েছে। রেফারিরা আমাদের ফাইনাল থেকে বঞ্চিত করেছে।ব্রাজিলের বিপক্ষে এবং আজকের ম্যাচে আমাদের ভালো পারফরম্যানস ছিলো কিন্তু সবাই দেখেছে কী হয়েছে।’
সমর্থকদের দাবি, রেফারি মারলো দিয়াজ মেসির উপর এক প্রকার প্রতিশোধই নিয়েছেন। কারণ সেমিফাইনালের ম্যাচের খেলা পরিচালনা নিয়ে মেসিই অভিযোগ করেছিলেন।
ম্যাচ শেষেও রাগ পড়েনি মেসির। প্রতিবাদ স্বরূপ ম্যাচ শেষেও ড্রেসিং রুম থেকে বের হননি। এমনকি পুরো দল যখন বাইরে তৃতীয় হওয়ার পুরষ্কার নেওয়ার সময়ও সেখানে যোগ দেননি।