December 22, 2024
খেলাধুলা

ব্যাটিং ব্যর্থতায় ইনিংস হারের শঙ্কা

ক্রীড়া ডেস্ক
পেছনে ছিল প্রথম ইনিংসের ভুল। সামনে সেই ভুল শোধরানোর চ্যালেঞ্জ। কিন্তু চ্যালেঞ্জ নেওয়ার পথে হাঁটলেন না তাদের কেউ। বাংলাদেশের ইনিংসও তাই হাঁটল পেছন পানে। আরও একবার জ্বলে উঠলেন কেবল তামিম ইকবাল। আবারও উইকেট বিলিয়ে এলেন অন্যরা। বাংলাদেশকে তাই চোখ রাঙাচ্ছে ইনিংস পরাজয়।
প্রথম ইনিংসের চেয়ে দুটি ব্যতিক্রম অবশ্য আছে। একটি হতাশার, আরেকটি আশার। সম্ভাবনা জাগিয়েও এবার সেঞ্চুরি পাননি তামিম। তবে লড়াই করে টিকে আছেন সৌম্য সরকার। ইনিংস হার এড়ানো অবশ্য এখনও অনেক দূর। সেখানে পৌঁছতে চাই আরও ৩০৭ রান।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ উইকেটে ১৭৪ রান নিয়ে বাংলাদেশ হ্যামিল্টন টেস্টের তৃতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ড প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৬ উইকেটে ৭১৫ রানে। প্রথম ইনিংসে ১২৬ রানের পর এবার তামিম করেছেন ১২ চার ও ১ ছক্কায় ৮৬ বলে ৭৪। কয়েকটি দারুণ শট, কিছু অস্বস্তিকর সময় কাটিয়ে সৌম্য দিন শেষ করতে পেরেছেন ৩৯ রানে অপরাজিত থেকে।
৪৮১ রানে পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশ শুরু করেছিল দ্বিতীয় ইনিংস। কিন্তু সেই চাপের কোনো ছাপ ছিল না তামিমের ব্যাটে। শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলেছেন। সাদমান ইসলামকে নিয়ে আবারও দলকে এনে দেন ভালো শুরু। তামিমের ব্যাটিং থেকে আত্মবিশ্বাস পেয়েছিলেন হয়তো সাদমানও। তরুণ বাঁহাতি ওপেনার খেলছিলেন স্বচ্ছন্দে।
কিন্তু সাদমানকে দিয়েই শুরু উইকেট বিলিয়ে আসার। নিল ওয়েগনার অনুমিতভাবেই শর্ট বল করে গেছেন। অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে পুল করতে গিয়ে সাদমান আউট হন ৩৭ রানে। উদ্বোধনী জুটি থামে ৮৮ রানে।
হতাশার শুরু সেই থেকে। ট্রেন্ট বোল্টকে দারুণ দুটি ফ্লিকে বাউন্ডারি মেরেছিলেন মুমিনুল হক। পরের বলেই অনেক বাইরের বল কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ধরা। বোল্টের পরের ওভারেই অনেক বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে আউট মোহাম্মদ মিঠুন।
ভুল থেকে না শেখার দায় শেষ পর্যন্ত কিছুটা নিতে হচ্ছে তামিমকেও। কিউইদের পেস আক্রমণেক পাত্তা না দিয়ে যথারীতি খেলেছেন দারুণ সব শট। তবে বাউন্সারে ‘ডাক’ করার ক্ষেত্রে বারবার হচ্ছিলেন অসাবধানী। প্রথম ইনিংসে একবার ব্যাট শরীরের ওপর উঁচিয়ে রেখে বেঁচে গিয়েছিলেন, দ্বিতীয় ইনিংসেও একটুর জন্য রক্ষা পেয়েছেন। কিন্তু সেটিই কাল হয়েছে শেষ পর্যন্ত।
টিম সাউদির বলে জায়গা বানিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন তামিম। সাউদি সেটি দেখে শরীর সোজা ঠুকে দেন। তামিম ‘ডাক’ করতে গিয়ে পড়ে যান উইকেট, কিন্তু ব্যাট উঁচিয়ে রাখেন ওপরেই। সেখানে লেগে বল যায় কিপারের গ্লাভসে।
আরেকটি বড় ধাক্কা থেকে বাংলাদেশ রক্ষা পায় সৌভাগ্যের ছোঁয়ায়। প্রথম বলেই বেঁচে যান মাহমুদউল­াহ। ব্যাটে বল লাগার আওয়াজ পাওয়া যায় স্পষ্ট, রিয়েল টাইম স্নিকোতে স্পাইকও ধরা পড়ে। তবে বল ব্যাটে লাগার আর স্পাইক একসঙ্গেই কিনা, সেটি নিশ্চিত হতে না পেরে আউট দেননি তৃতীয় আম্পায়ার। ধারাভাষ্যকাররা যদিও বারবার বলছিলেন, এটি আউট না হওয়ার কারণ নেই। টিকে গিয়ে মাহমুদউল­াহ আর সৌম্য লড়াই করেছেন। দিন শেষে দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটির রান ৪৮। তাদের সামনে, দলের সামনে এখনও অনেক বন্ধুর পথ।

শেয়ার করুন:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *