বৌদ্ধ পূর্ণিমায় নিরাপত্তা শঙ্কা নেই : আইজিপি
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাব-গাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপনের লক্ষ্যে দেশজুড়ে ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তবে বৌদ্ধ পূর্ণিমার নিরাপত্তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো শঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। গতকাল মঙ্গলবার পুলিশ সদর দফতরের সম্মেলন কক্ষে বৌদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বিষয়ক সভায় তিনি এসব কথা জানান।
আইজিপি বলেন, বৌদ্ধ পূর্ণিমাকে নিয়ে কোনো গোষ্ঠী বা মহল যাতে কোনো ধরনের গুজব বা বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সেজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহ সার্বক্ষণিক মনিটর করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর জন্য সকল পুলিশ ইউনিটকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শনের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের আমরা নির্দেশ দিয়েছি। বৌদ্ধ পূর্ণিমাকে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন এবং ব্লক রেইডের ব্যবস্থা করার জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন আইজিপি।
তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রতিবারের মত এবারও দেশব্যাপী শান্তিপূর্ণভাবে বৌদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপিত হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা সুসংহত করার লক্ষ্যে নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিটি বিষয় বিশ্লেষণ করে বৌদ্ধ মন্দির কেন্দ্রিক বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কমিউনিটি পুলিশিং সদস্য, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তা নিয়ে বৌদ্ধ মন্দির সমূহে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইউনিটসমূহকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এছাড়া, নিরাপত্তার স্বার্থে মন্দিরে ব্যাগ, পার্স, ভ্যানিটি ব্যাগ ইত্যাদি সাথে না আনার জন্য পূণ্যার্থীদের প্রতি আহŸান জানানো হয়েছে। বৌদ্ধ মন্দিরসমূহে সিসিটিভি ক্যামেরা ও অগ্নিনির্বাপন যন্ত্র স্থাপন এবং স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের জন্য বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এ সময় সভায় উপস্থিত বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ গৃহীত সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পুলিশ প্রধানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
সভায় অতিরিক্ত আইজিপি (এএন্ডও) ড. মইনুর রহমান চৌধুরী, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) অতিরিক্ত আইজিপি মীর শহীদুল ইসলাম, সংশ্লিষ্ট রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ কমিশনার ও জেলার পুলিশ সুপারগণ, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।