বোরহানউদ্দিনের সেই শুভসহ ৩ জন রিমান্ড শেষে কারাগারে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ভোলার বোরহানউদ্দিনে ফেসবুক ‘হ্যাক করে’ মেসেঞ্জারে কথিত ধর্ম অবমাননাকর বক্তব্য ছড়ানো ঘটনায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় গ্রেপ্তার বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্যসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোরহানউদ্দিন থানার এসআই মোহাইমিনুল ইসলাম জানান, তিনদিনের রিমান্ড শেষে বুধবার রাতে ভোলার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরীফ মো. সানাউল হকের আদালতে আসামিদের হাজির করা হয়।
এ সময় আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন করা হলে বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। শুভ ছাড়া বাকি আসামিরা হলেন- রাফসান ইসলাম শরীফ ও মো.ইমন।
মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম বলেন, আমরা আসামিদের পক্ষে জামিনের আবেদন করেছি। রোববার শুনানি হলে আমরা আসামিদের জামিন পাব বলে আশা করছি। কারণ ইতোমধ্যে পুলিশ নিশ্চিত করেছে যে- বিপ্লবের আইডিটি হ্যাক হয়েছে।
গত ১৮ অক্টোবর রাতে (শুক্রবার) বিপ্লব চন্দ্র বৈদ্য শুভ বোরহানউদ্দিন থানায় গিয়ে একটি জিডি করেন; সেখানে তিনি তার ফেসবুক আইডি হ্যাকারের কবলে পড়ার কথা জানান। শুভর মেসেঞ্জারে ‘নবীকে নিয়ে অবমাননাকর বক্তব্য’ ছড়িয়ে সেই ‘স্ক্রিনশট’ ব্যবহার করে গত শুক্রবার থেকে বোরহানউদ্দিনে উত্তেজেনা সৃষ্টি করা হয়।
এরপর শুভর বিচারের দাবিতে রোববার বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ ময়দানে ‘মুসলিম তৌহিদি জনতা’র ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। রোববার বেলা পৌনে ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উপজেলা সদরে দফায় দফায় সংঘর্ষে চারজন নিহত হন, আহত হন ১০ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক।
সংঘর্ষের মধ্যে পুলিশের দিকে গুলিও ছোড়া হয়; তাতে একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হন।সংঘর্ষে যে চারজন নিহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে দুজনের মাথা ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে থেঁতলানো ছিল বলে চিকিৎসকের বরাতে জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর।