বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৬ টাকা কমলো
বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ছয় টাকা কমিয়ে ১৯৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগামীকাল থেকে কার্যকর হবে।
ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন রোববার (২৬ জুন) দাম কমানোর ঘোষণা দেয়।
নতুন দাম অনুযায়ী, খোলা সয়াবিন তেল লিটারপ্রতি ১৮০ টাকা, বোতলজাত সয়াবিন ১৯৯ টাকা, পাঁচ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
করোনা মহামারির মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর সয়াবিনসহ ভোজ্যতেলের দাম বিশ্ববাজারে বাড়তে থাকায় বাংলাদেশেও এর প্রভাব দেখা দেয়। প্রায় দেড় মাস আগে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৪০ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। তার আগে দাম বাড়ানো হয়েছিল গত ফেব্রুয়ারিতে।
ভোজ্যতেলের দাম আর বাড়বে না বলে গত ২ জুন বাণিজ্যমন্ত্রী বললেও তার সাত দিনের মাথায় ৯ জুন তেলের দাম লিটারে ৭ টাকা বেড়ে ২০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
মূল্যবৃদ্ধির পর সে সময় এক লিটার খোলা সয়াবিন তেলের সর্বোচ্চ খুচরামূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৮৫ টাকা। বোতলজাত এক লিটার সয়াবিনের সর্বোচ্চ খুচরা দাম নির্ধারণ করা হয় ২০৫ টাকা। এছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ঠিক করা হয় সর্বোচ্চ ৯৯৭ টাকা। এক লিটার খোলা পাম তেলের দাম বেড়ে দাঁড়ায় ১৫৮ টাকায়।
বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম কমে যাওয়ায় বাংলাদেশেও দু-একদিনের মধ্যে নিত্যপণ্যটির দাম কমবে বলে সকালে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার দ্বাদশ মিনিস্টিরিয়াল কনফারেন্স উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সচিব বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় আগামী দু-একদিনের মধ্যে বাংলাদেশে এর প্রভাব বাস্তবায়িত হবে। সেই হিসেবে তেলের দাম কমার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।
সচিবের সংবাদ সম্মেলনের কয়েক ঘণ্টা পরই সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ছয় টাকা কমানোর কথা জানানো হলো ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সংগঠনটির পক্ষ থেকে।