বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরুর সিদ্ধান্ত
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে রোজার মাসে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
বুধবার দুই দেশের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বৃহস্পতিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি শুরুর এই সিদ্ধান্ত নেন।
বেনাপোল শুল্কভবনের কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী জানান, তারা তাদের বন্দর স্বাভাবিক সময়ের মতই পূর্ণ পরিসরে খোলা রেখেছেন। তারা সব সময়ই প্রস্তুত রয়েছেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সঙ্গে কাজ চালাতে চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান।
বিশ্বব্যাপী মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার প্রায় সবকিছু বন্ধ করে সবাইকে ঘরে থাকতে বলেছে। এতে জনজীবন প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। দেখা দিয়েছে অনেক নিত্যপণের সংকট।
এই পরিস্থিতিতে রোববার সরকারি-বেসরকারি কিছু কলকারখানা চালু হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য প্রতিষ্ঠান চালুর চেষ্টা চলছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন শিমুল বলেন, রমজান মাসে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফলমূল ও পেঁয়াজের মত নিত্যপণ্য আমদানি-রপ্তানির সিদ্ধান্ত হয়েছে। এগুলোর ওঠানামার কার্যক্রম হবে শূন্যরেখায়।
“বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীরা বুধবার শূন্যরেখায় একটি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার যেকোনো সময় আমদানি-রপ্তানির কার্যক্রম শুরু হবে।”
গত ২২ মার্চ থেকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।
ভারতের পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ ওয়েল ফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী বলেন, পেট্রাপোল পুলিশ জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় ট্রাক চালক ও তার সহকারীরা বেনাপোল বন্দরে ঢুকলে তাদের ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। তাই ভারতীয় ট্রাকচালকরা পণ্যচালান নিয়ে শূন্যরেখা পর্যন্ত যাবে। বাংলাদেশি শ্রমিকরা সেখান থেকে মাল বাংলাদেশি ট্রাকে লোড করে নেবেন।