বেনাপোলে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ, যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
বাঙালি হিন্দু স¤প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে
বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে এ সময় বাংলাদেশে এরই
মধ্যে যে সব পণ্য প্রবেশ করেছে সেগুলো ওঠানো-নামানো-খালাসসহ বন্দরের
অন্যান্য কাজ চালু রয়েছে বলে জানিয়েছে বেনাপোল কাস্টমস ও বন্দর
কর্তৃপক্ষ।
সরকারি ছুটি থাকলেও আন্তর্জাতিক এই চেকপোস্ট দিয়ে দুদেশেই যাত্রী
পারাপার স্বাভাবিক থাকবে বলে জানান, বেনাপোল আন্তর্জাতিক
চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন ওসি মহসিন খান পাঠান। এ বছর শারদীয়
দুর্গোৎসব ৪ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মাধ্যমে শুরু হয়ে ৮ অক্টোবর বিজয় দশমীর
মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটবে।
হিন্দু ধর্মীয় মতে-এবারে মা দুর্গা ঘটকে বা ঘোড়ায় চড়ে আসবেন
এবং ঘোড়ায় চড়ে যাবেন। এটি সমাজে বিশৃঙ্খলা ও ছত্রভঙ্গতার ইঙ্গিত দেয়।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দর ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ ওয়েলফেয়ার
এ্যাসোসিয়েশনে এক চিঠিতে জানিয়েছে-শারদীয় দুর্গাপুজা উপলক্ষে
৫ অক্টোবর থেকে ৮ অক্টোবর পর্যন্ত চারদিন সরকারি ছুটি থাকছে তাদের।
শনিবার নবপত্রিকা প্রবেশ ও স্থাপনের পর শুরু হবে মহাসপ্তমীর পূজা। রোববার
মহাঅষ্টমী পূজা, সেদিন হবে সন্ধিপূজা। সোমবার বিহিত পূজার মাধ্যমে
হবে মহানবমী পূজা। মঙ্গলবার সকালে দর্পণ বিসর্জনের পর প্রতিমা
বিসর্জনের মাধ্যমে শেষ হবে দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিকতা।
‘মহা সপ্তমী, মহা অষ্টমী, মহা নবমী ও বিজয়া দশমী’র দিনগুলোতে বন্দরে
আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকছে। বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টম কার্গো শাখার
রাজস্ব কর্মকর্তা নাসিদুল হক জানান, ওপারে সরকারি ছুটি শুরু হওয়ায়
বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে
গেছে।
বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক মামুন কবীর তরফদার, পেট্রাপোল -টানা
আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলে দুই দেশের স্থলবন্দর এলাকায় শত শত পণ্য বোঝাই
ট্রাক আটকা পড়ে। ভারত থেকে আমদানি পণ্যের ‘অধিকাংশই বাংলাদেশের
গার্মেন্টস শিল্পের কাঁচামাল’ বলে জানান তিনি।