বেতনের দাবিতে পোশাক কারখানায় বিক্ষোভ
ঢাকার সাভার ও আশুলিয়ায় বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে কয়েকটি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে।
এ সময় হেমায়েতপুর-সিংগাইর সড়কে একটি কারখানায় শ্রমিকরা আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ করেছে।
রোববার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত মার্স ডিজাইন লিমিটেড, ওয়ান ওয়াল্ড ডেনিম ওয়াশিং লিমিটেড, পাইওনিয়ার গামের্ন্টস লিমিটেড, গোল্ডেন স্ট্রিচ লিমিটেড, ত্বো-হা টেক্সটাইল, আদিত্ত অ্যাপারেলস, রাকিব অ্যাপারেলস, সুরাইয়া ফ্যাশন ও খান মেনসন কারখানার শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখায়।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঝুঁকি এড়াতে সরকারের বন্ধ ঘোষণার পর থেকে এসব কারখানা বন্ধ রয়েছে।
চার মাসের বেতন বকেয়া রয়েছে বলে জানান হেমায়েতপুরের রাকিব অ্যাপারেলস লিমিটেড-এর শ্রমিকরা।
তারা হেমায়েতপুর-সিংগাইর সড়কে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গামের্ন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, বকেয়া বেতন-ভাতার জন্য সাভার আশুলিয়ায় ৯টি পোশাক কারখানায় শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেছে। তবে তাদের বকেয়া পাওনাদির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান তিনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আশুলিয়ার কবিরপুরের ত্বো-হা টেক্সটাইল কারখানার শ্রমিকরা মার্চ মাসের বকেয়া বেতন-ভাতার দাবিতে কারখানার প্রধান ফটকের সামনে জড়ো হয়। পরে সেখানেই বিক্ষোভ শুরু করে। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে তারা নবীনগর-চন্দ্রা সড়কে অবরোধ করে রাখে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।রাকিব অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার একাধিক শ্রমিকরা জানান, মালিক গত জানুয়ারি মাস থেকে শ্রমিকদের বেতন নিয়ে তালবাহানা করে আসছিল। মার্চ মাসের বকেয়া বেতন ৫ তারিখ পরিশোধের কথা থাকলেও কর্তৃপক্ষ ওইদিন বেতন না দিয়ে ১৩ তারিখ দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে কারখানা ছুটি ঘোষণা করে।
তারা বলেন, আজ (রোববার) সকালে শ্রমিকদের বেতন দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কারখানার একাধিক শ্রমিক অফিস স্টাফদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আগামীকালও (সোমবার) বেতন দেওয়া হবে না বলে খবর পান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরে রাকিব অ্যাপারেলসের শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে হেমায়েতপুর-সিংগাইর সড়কের উপর জড়ো হয়ে গাছের ডাল ও কাঠ ফেলে আগুন ধরিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর এসপি সানা সামিনুর রহমান বলেন, শ্রমিক অসন্তোষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে রাখা হয়েছে।
রোববার সকালে গাজীপুরেও বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানায় একই দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক করেছে। পরে মালিক-শ্রমিক-পুলিশের আলোচনায় বেতন পরিশোধের সিদ্ধান্ত হলে শ্রমিকরা ফিরে যায়।