বৃষ্টিতে নগরবাসি ভিজবে আর আমি মেয়রের চেয়ারে বসে থাকবো সেটি করবো না
বর্ধিত সভায় সিটি মেয়র
মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, বিএনপি জামায়াত নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এই ষড়যন্ত্রকে মোকাবেল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নির্বাচনী ইসতেহার অনুসারে ইতোমধ্যে নগরবাসির স্বার্থে সকল ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। অনেক স্থানে রাস্তা বন্ধ করে দলীয় অফিস করা হয়েছে। এ মাসের মধ্যেই ওই সকল অফিস অপসারণ করতে হবে। তিনি বলেন, বৃষ্টিতে নগরবাসি ভিজবে আর আমি মেয়রের চেয়ারে বসে থাকবো সেটি করবো না। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে আমি সকল প্রকার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবো। কেউ যদি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে বাধার সৃষ্টি করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বলেন, ময়ূর নদী খননের নামে দুর্নীতি ও অনিয়ম হয়েছে এ বিষয়টি দুদকে দেয়া হবে। সিটি কর্পোরেশনে কোন দুর্নীতি চলবে না। তিনি দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নগরীতে উন্নয়ন কাজ চলছে। এসকল কাজের মান রক্ষার দায়িত্ব আপনাদের। আপনারা স্ব স্ব ওয়ার্ডে কাজ তদারকি করবেন। তিনি বলেন, আজ আগামী প্রজন্মের জন্য আমাদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। একটি পরিবেশ বান্ধব পরিকল্পিত নগরী গড়ে আগামী প্রজন্মকে উপহার দিতে হবে। সেজন্যে জলাবদ্ধতা নিরসন, পরিচ্ছন্ন রাস্তা, সুস্বাস্থ্য রক্ষায় কাঁচা পায়খানা বন্ধ করতে হবে। আসুন সবাই মিলে একটি পরিবেশ বান্ধব বাসযোগ্য তিলোত্তমা নগরী গড়ে বঙ্গবন্ধু’র স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মান করি।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মিজান এর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় কমিটির সদস্য এ্যাড. চিশতি সোহরাব হোসেন শিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা কাজি আমিনুল হক, শেখ হায়দার আলী, এ্যাড. রজব আলী সরদার, এমডিএ বাবুল রানা, নুর ইসলাম বন্দ, মো. আশরাফুল ইসলাম, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, শ্যামল সিংহ রায়, মকবুল হোসেন মিন্টু, মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, শেখ ফজলুল হক, জেড এ মাহমুদ ডন, ফেরদৌস আলম চান ফারাজী, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, শেখ ইউনুস আলী, কামরুল ইসলাম বাবলু, বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, শেখ নুর মোহাম্মদ, মো. শাহাজাদা, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, শেখ সৈয়দ আলী, এ কে এম সানাউল্লাহ নান্নু, শেখ আবিদ হোসেন, সিদ্দিকুর রহমান বুলু বিশ্বাস, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, মো. শহিদুল ইসলাম বন্দ, এস এম আনিসুর রহমান, মাহাবুবুল আলম বাবলু মোল্লা, হাসান ইফতেখার চালু, মাকসুদ আলম খাজা, প্যানেল মেয়র আমিনুল ইসলাম মুন্না, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, অধ্যা. রুনু ইকবাল, এ্যাড. সুলতানা রহমান শিল্পী, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান, কাউন্সিলর এস এম মোজাফফর রশিদী রেজা, কাউন্সিলর কাজী আবুল কালাম আজাদ বিকু, কাউন্সিলর মাহমুদা বেগম, কাউন্সিলর কনিকা সাহা, কাউন্সিলর পারভীন আক্তার, কাউন্সিলর সাহিদা বেগম, আবুল কাশেম মোল্লা, বিএম সজীব, রনজিত কুমার ঘোষ, মনিরুজ্জামান সাগর, মীর বরকত আলী, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল সহ দলের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকরা উপস্থিত ছিলেন।
গভায় ২৪ মার্চ শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য সেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, পরিবেশ ও বন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এমপি, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ, জাতীয় সংসদের হুইপ পঞ্চানন বিশ্বাস, সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মুর্শিদী, সংসদ সদস্য নারায়ন চন্দ্র চন্দ, সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবুকে সংবর্ধনা প্রদানের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর ৯৯তম জন্ম বার্ষিকী উদযাপন, ২৫মার্চ গণহত্যা দিবস, ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের সিদ্ধান্ত হয়। এসকল কর্মসূচি সফল করার জন্য সকল ওয়ার্ড, থানা, মহানগর আওয়ামী লীগ সহ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীর প্রতি আহবান জানানো হয়।
সভায় ২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মো. সাকিল আহমেদ ও খুলনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি মো. ফারুক আহমেদের মা বেগম মমতাজ নুর এর সুস্থ্যতা কামনা করা হয়।