বুরুজের স্ত্রী সাবিহাসহ পাঁচজনের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
নগরীতে ঠিকাদার বালা হত্যাকাণ্ড
দ: প্রতিবেদক
খুলনায় ঠিকাদার মিজানুর রহমান বালা হত্যার ঘটনায় প্রয়াত যুবলীগ নেতা মেজবাহ হোসেন বুরুজের স্ত্রী ও মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবিহা খাতুনসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে তাদের গ্রেফতার করা হয়। ওই রাতেই নিহত মিজান বালার স্ত্রী সাহেরা খাতুন বাদি হয়ে ৫ জনের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় মামলা করেন। গ্রেফতারকৃত অন্য ৪ হচ্ছেন সজিব হাসান সাথী, মোস্তফা হোসেন সোনা, ফয়সাল ও মাসুদ। এরা খুলনার বিভিন্ন এলাকার ভাড়াটে মাস্তান হিসেবে পরিচিত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সদর থানার এস আই বিপ্লব কান্তি দাস জানান, হত্যাকান্ডের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাবিহা খাতুনসহ ৫ জনকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেছে পুলিশ। আজ রবিবার খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে রিমান্ড শুনানী অনুষ্ঠিত হবে। আসামিদের রিমান্ডে আনা গেলে হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হবে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) শাকিলুজ্জামান জানান, হত্যাকান্ডের পর কয়েক দফা সাবিহা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রতিবারই তিনি অসংলগ্ন বক্তব্য দিয়েছেন। এছাড়া নিহত মিজান বালার পরিবারের প্রধান সন্দেহের তালিকায় ছিলেন তিনি। এজন্য মামলা দায়েরের পর সাবিহা খাতুনসহ অন্য ৪ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক নেতা মেজবাহ হোসেন বুরুজ ঠিকাদারী করতেন। তার ঠিকাদারী কাজে সহায়তা করতো বড় ভাই মিজানুর রহমান বালা। বুরুজ তার ঠিকাদারী কাজের দেখাশুনাসহ আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে তার বড় ভাই বালাকে ক্ষমতা হস্তান্তর করেছিলেন। ২০১৭ সালে বুরুজের মৃত্যুর পর থেকে এ সকল বিষয় নিয়ে ওই পরিবারে নানা ধরণের মতানৈক্য দেখা দেয় বলেও জানা গেছে। গত ৩ মাস পূর্বে মিজানুর রহমান বালা’র পিঠে ছুরিকাঘাত করেছিলো সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সোনাডাঙ্গা থানায় একটি মামলাও দায়ের হয়েছিলো। পুলিশ এ হত্যাকান্ডের তদন্তে পূর্বের ওই মামলার সাথে জড়িতদের বিষয়টি মাথায় নিয়ে কাজ করছেন।
উলেখ্র, গত ২৭ মার্চ রাত সাড়ে ১০টায় সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে খুন হন মিজানুর রহমান বালা। তিনি খুলনায় প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার হিসেবে পরিচিত। প্রয়াত যুবলীগ নেতা মেজবাহ হোসেন বুরুজ তার ছোট ভাই।