বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে পোড়ামাটির দেশ বানাতে চেয়েছিল পাক বাহিনী
আ’লীগের আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ
খবর বিজ্ঞপ্তি
আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, পাক হানাদার বাহিনী, রাজাকার, আল শামসদের নিয়ে বাংলাকে পোড়া মাটির দেশ বানাতে চেয়েছিল। তাদের সেই চক্রান্তকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের নেতৃত্বে রুখে দেওয়া হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর ডাকে এদেশের দামাল ছেলেরা নিরস্ত্র অবস্থায় শত্রæবাহিনীর উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। পাক বাহিনী যখন ক্ষিপ্ত হয়ে অত্যাচার নির্যাতনসহ জ্বালাও পোড়াও করেছিল। এইসব সংবাদ এবং হত্যা নির্যাতনের ইতিহাস শিক্ষক, সাহিত্যিক, লেখক, সাংবাদিকরা তাদের লেখনির মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরেছিলো। সেই কারণেই নির্মমভাবে তাদেরকে হত্যা করা হয়। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ৭১ এর রাজাকার ছিল প্রত্যক্ষ শত্রæ আর আজকে তাদের প্রজন্ম বর্ণচোরা হয়ে আমাদের সাথে মিশে যাওয়ার চেষ্টা করছে। এরা ভয়াবহ, এদের থেকে সতর্ক থেকে স্বাধীনতার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হবে।
গতকাল শনিবার বাদ মাগরিব দলীয় কার্যালয়ে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ। বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য এ্যাড. চিশতি সোহরাব হোসেন শিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা আলহাজ্ব মোল্লা জালাল উদ্দিন, এ এফ এম মাকসুদুর রহমান, মল্লিক আবিদ হোসেন কবির, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত অধিকারী, এ্যাড. রজব আলী সরদার, কামরুজ্জামান জামাল, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, হালিমা ইসলাম, আবুুল কাশেম মোল্লা, মো. মোতালেব হোসেন, সফিকুর রহমান পলাশ, আসাদুজ্জামান রাসেল, ইমরান হোসেন। সভা পরিচালনা করেন মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা এ্যাড. কাজী বাদশা মিয়া, বেগ লিয়াকত আলী, শেখ সিদ্দিকুর রহমান, বিএমএ সালাম, নুর ইসলাম বন্দ, সরফুদ্দিন বিশ্বাস বাচ্চু, শেখ মো. ফারুক আহমেদ, এ্যাড. আইয়ুব আলী শেখ, এ্যাড. নব কুমার চক্রবর্তী, শ্যামল সিংহ রায়, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, এ্যাড. নিমাই চন্দ্র রায়, এ্যাড. ফরিদ আহমেদ, শেখ ফজলুল হক, জোবায়ের আহমেদ খান জবা, ফেরদৌস আলম চান ফরাজী, এ্যাড. খন্দকার মজিবর রহমান, অধ্যা. আলমগীর কবীর, কাউন্সিলর আলী আকবর টিপু, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, অধ্যা. মিজানুর রহমান, বিরেন্দ্রনাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, এ্যাড. শাহ আলম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহম্মদ, মো. শাহাজাদা, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, শেখ সৈয়দ আলী, অধ্যক্ষ দেলোয়ারা বেগম, শহীদুল ইসলাম বন্দ, শেখ মো. আনোয়ার হোসেন, এ্যাড, রবিন্দ্রনাথ মন্ডল, জয়ন্তী রানী সরদার, মাকসুদ আলম খাজা, কাউন্সিলর শামসুজ্জামান মিয়া স্বপন, মালিক সরোয়ার, আবুল কাশেম ডাবলু, এ্যাড. সরদার আনিসুর রহমান পপলু, মনিরুজ্জামান খান খোকন, অসিত বরন বিশ্বাস, ডা. মাহবুব উল ইসলাম, হাজী নুরুজ্জামান, এ্যাড. তারিক মাহমুদ তারা, কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান, কাউন্সিলর লুৎফুন নেসা লুৎফা, কাউন্সিলর কনিকা সাহা, টি এম আরিফ, মানিকুজ্জামান অশোক, এস এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, এম পল্টু, এ্যাড. জেসমিন আক্তার জলি, জমিল খান, নুরজাহান রুমি, জাহিদুল হক, ফেরদৌস হোসেন লাবু, মুন্সি আইয়ুব আলী, আব্দুর রউফ মোড়ল, এ্যাড. ফারখ হোসেন, আব্দুল হাই পলাশ, মঈনুল ইসলাম নাসির, ফায়েজুল ইসলাম টিটো, মো. মোতালেব মিয়া, শেখ এশারুল হক, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, এমরানুল হক বাবু, এ্যাড. শামীম মোশরফ, সরদার আব্দুল হালিম, মাকসুদ হাসান পিকু, হারুন অর রশিদ সহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
আলোচনা সভার শুরুতে এক মিনিট দাড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। দিবসের প্রথম প্রহরে গল্লামারী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।