‘বীর’ সোলেমানির শেষ বিদায়ে ইরাকিদের ঢল
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ক্ষমতাধর ব্যক্তি মনে করা হতো কুদস ফোর্সের প্রধান কাসেম সোলেমানিকে। তাকে জাতীয় বীরের মর্যাদা দিত ইরানিরা। দুর্দান্ত সাহস আর বুদ্ধিমত্তায় জঙ্গিগোষ্ঠী আইএস দমন করে ইরাকেও ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন সোলেমানি। কিন্তু মার্কিনিদের হামলায় এ দেশেই প্রাণ হারাতে হয়েছে তাকে। তাই প্রিয় কমান্ডারকে শেষবিদায় জানাতে গতকাল শনিবার বাগদাদের রাস্তায় নেমে এসেছিলেন হাজার হাজার মানুষ।
গত বৃহস্পতিবার রাতে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মার্কিন হামলায় নিহত হন কাসেম সোলেমানিসহ আটজন। গতকাল শনিবার কারবালা থেকে শুরু হয়ে নাজাফ শহর পর্যন্ত শোকযাত্রার আয়োজন করে ক্ষমতাধর প্যারামিলিটারি গ্রæপ হাশদ আল-শাবি (পিএমএফ)।
শোকযাত্রায় মেজর জেনারেল সোলেমানির মরদেহ বহনকারী গাড়ি ঘিরে সমর্থকরা ¯েøাগান দিতে থাকেন, তুমি কখনোই আমাদের হতাশ করোনি। ইরাকি শিয়া সশস্ত্র সংগঠন হাশদ আল-শাবির উপ-অধিনায়ক আবু মাহদি আল-মুহানদিসও প্রাণ হারিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের হামলায়। নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কালো পোশাকে হাশদ আল-শাবির হলুদ পতাকা হাতে সমবেত হন সমর্থকরা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সোলেমানিকে হত্যা করা হয়। এদিন সোলেমানিকে সম্মানের পাশাপাশি ট্রাম্পের প্রতি ঘৃণা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেকে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নুরি আল-মালিকি, হিকমা পার্লামেন্টারি বøকের নেতা আম্মার আল-হাকিম, হাশাদ আশ-শাবির অধিনায়ক ফালেহ ফাইয়াদসহ ইরাকের প্রভাবশালী শিয়া নেতারা শোকযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। কারবালা ও নাজাফে জানাজার পর আল-মুহানদিস ও নিহত ইরাকিদের মরদেহ দাফন করা হবে। আর সোলেমানির মরদেহ পাঠানো হবে তেহরানে।