বিয়ের প্রলোভনে গৃহবধূকে ধর্ষণ, প্রধান আসামি কারাগারে
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
পটুয়াখালীর গলাচিপায় বিয়ের প্রলোভনে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় রাজিবকে (২৫) নামে এক যুবককে প্রধান আসামি করে দুই জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার গলাচিপা থানায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ঘটনার শিকার গৃহবধূকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
রাজিব গলাচিপা উপজেলার ডাকুয়া ইউনিয়নের পূর্ব আটখালী গ্রামের মৃত আলী আকবরের ছেলে। এদিকে, পুলিশ রাজিবকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা গেছে, গত ২৮ অক্টোবর সোমবার ঘটনার শিকার গৃহবধূকে রাজিব বিয়ের প্রলোভনে কলাপাড়া উপজেলার মহিপুর থানার ধুলেশ্বর গ্রাম থেকে গলাচিপার ডাকুয়ার পূর্ব আটখালী গ্রামে নিয়ে আসে। এসময় রাজিবের স্ত্রী বাবার বাড়িতে ছিল। এসময় গৃহবধূকে দুই দিন আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়।
এ ঘটনায় গৃহবধূকে মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাজিবের বাড়ি থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ উদ্ধার করে। পরে গৃহবধূর পরিবারের লোকজন তাদের গ্রামের বাড়ি মহিপুর থানার ধুলেশ্বর গ্রামে নিয়ে যায়। এদিকে, গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়লে কলাপাড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার (গৃহবধূর) শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পটুয়াখালী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পরে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে শুক্রবার সকালে গৃহবধূ বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় রাজিবকে প্রধান আসামি করে দুই জনের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
এ প্রসঙ্গে গলাচিপা থানার অফিসার ইনচার্জ আখতার মোর্শেদ বলেন, ‘ধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য পটুয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষণের প্রধান আসামি রাজিবকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে। অন্য আসামিকে ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
উলেখ্য, ছয় মাস আগে রাঙ্গাবালী উপজেলার বড়বাইশদিয়া ইউনিয়নের মৌডুবী গ্রামের কাজিকান্দা এলাকায় ওই গৃহবধূর পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়।