বিড়াল হত্যার দায়ে তরুণীর বিরুদ্ধে মামলা
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
গত ১৯ মার্চ রাতে একটি ভিডিও আপলোড করেন ইশরাত জাহান মেহজাবিন নামে এক তরুণী। ভিডিওটিতে ছিল একটি বিড়ালের বাচ্চাকে হত্যা করে বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আলাদা করার দৃশ্য। এই দৃশ্য দেখার পর প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইনে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন প্রাণীদের কল্যাণে কাজ করা সংগঠন কেয়ার ফর পস-এর সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন। বৃহস্পতিবার মুগদা থানায় এ মামলাটি দায়ের করা হয়। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রলয় কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার এজাহারে উলেখ করা হয়েছে, গত ১৭ মার্চ রাত ১০টার দিকে জীবন্ত বিড়ালের বাচ্চাকে হত্যার ভিডিও ধারণ করে ইশরাত জাহান মেহজাবিন। এরপর বাচ্চাটির মৃতদেহ পলিথিনে মুড়ে ময়লার ঝুড়িতে ফেলে দেন। পরদিন ১৮ মার্চ ময়লাওয়ালা তা নিয়ে যায়।
বিড়ালটিকে হত্যার ভিডিও ১৭ মার্চ ধারণ করা হলেও ইশরাত জাহান তা নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে আপলোড করেন ১৯ মার্চ রাত ৯টার দিকে। নিষ্ঠুর এই হত্যাকাণ্ডের ভিডিওটি রাতের মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। একটি প্রাণীকে এভাবে হত্যার নিন্দা জানান বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। একইভাবে ভিডিওটি চোখে পড়ে প্রাণীদের কল্যাণে কাজ করা সংগঠন কেয়ার ফর পস-এর সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেনের। তিনি প্রতিষ্ঠানের সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তরুণীর পরিচয় ও ঠিকানা খুঁজে বের করেন। এরপর ২১ মার্চ দুপুরে ইশরাতের বাসায় যান তারা।
এ সময় ইশরাত বিড়ালের বাচ্চাটিকে হত্যা, ভিডিও ধারণ ও প্রকাশ করার বিষয়গুলো স্বীকার করেন বলে জানান কেয়ার ফর পস-এর সাধারণ সম্পাদক জাহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘এই নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ডের পরও তার মধ্যে কোনও অনুশোচনা দেখিনি। মুখে সরি বললেও ইশরাত এবং তার পরিবারের লোকজনের মধ্যে দুঃখবোধ ছিল না। উল্টো তারা শুরুতে বলেছিল, একটি বিড়ালই তো মেরেছে! কী আর হয়েছে?’
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘মামলাটি ১৯২০ সালের প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুরতা আইনে করা হয়েছে। আমরা এর পাশাপাশি সাইবার অ্যাক্টেও মামলাটি করতে চেয়েছিলাম। পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করেছে। তবে সাইবারে মামলা নেওয়া হয়নি। আমরা এই মামলাটি করেছি যাতে ভবিষ্যতে কেউ প্রাণীর প্রতি নিষ্ঠুর হওয়ার আগে ভাবে, এমনটি হলে তাকে আইনের মুখোমুখি হতে হবে। আমরা আইনি প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাবো।’