বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় ‘আংশিক অর্থায়নে রাজি ট্রাম্প প্রশাসন’
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়ার একমাস পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন সংস্থাটিতে আগের তুলনায় সামান্য পরিমাণ অর্থ দিতে রাজি হয়েছে
ট্রাম্প প্রশাসনের খসড়া একটি নথির বরাত দিয়ে শুক্রবার রাতে ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
“চীনের অর্থায়নের পরিমাণ পর্যালোচনা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় অর্থ দিতে ট্রাম্প প্রশাসন রাজি হয়েছে,” খসড়া চিঠিটিতে এমনটাই লেখা ছিল বলে জানিয়েছে ফক্স নিউজ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) ‘চীনঘেঁষা’ অ্যাখ্যা দিয়ে ট্রাম্প গত ১৪ এপ্রিল সংস্থাটিতে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়ন বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন।
নতুন করোনাভাইরাস বিষয়ে ডব্লিউএইচও চীনের দেওয়া ‘ভুলভাল তথ্যকে’ সমর্থন ও ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রেখেছে বলে সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেছিলেন। তিনি তার প্রশাসনকে আন্তর্জাতিক এ সংস্থার অব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখতেও নির্দেশনা দিয়েছিলেন।
ডব্লিউইএইচও-র কর্মকর্তারা অবশ্য শুরু থেকেই তাদের বিরুদ্ধে ওঠা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন।
চীনও নতুন করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে কোনো ধরনের লুকোচুরি বা ‘অস্বচ্ছতার’ আশ্রয় নেয়া হয়নি বলে দাবি করেছে।
অর্থায়ন বন্ধের আগে যুক্তরাষ্ট্রই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় সবচেয়ে বেশি অর্থ দিত বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
গত বছর সংস্থাটিকে ৪০ কোটি ডলার দিয়েছিল তারা, যা ডব্লিউএইচও-র মোট বাজেটের প্রায় ১৫ শতাংশ।
ফক্স নিউজের দেখা নথি অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসন যদি এবার চীনের অর্থায়নের সমপরিমাণ বা এর কাছাকাছি তহবিল বরাদ্দ করে, তাহলেও এর পরিমাণ দাঁড়াতে পারে সর্বোচ্চ ৪০ কোটি ডলারে। এ অংক গত বছর দেয়া অর্থের দশভাগের একভাগ।