বিশ্ব মানবাধিকার চ্যালেঞ্জের মুখে: জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, বিশ্ব মানবাধিকার বিষয়ে অভূতপূর্ব ও আন্তসম্পর্কযুক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছে।
ক্ষুধা ও দারিদ্র্য বাড়ছে- যা কোটি মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অধিকার খর্ব করছে।
নাগরিকদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা কমছে।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে এক বার্তায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, বিশ্বের প্রায় প্রতিটা অঞ্চলেই সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। আস্থা উবে যাচ্ছে, বিশেষত তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে। কোভিড-১৯ মহামারি নারী ও মেয়েশিশুদের ওপর সহিংসতার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। বর্ণবাদ, অসহনশীলতা ও বৈষম্য লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে।
ত্রিমাত্রিক সংকট- জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্য হ্রাস ও দূষণের কারণে মানবাধিকারের জন্য নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ আবির্ভূত হচ্ছে। নতুন কিছু প্রযুক্তির কারণে মানবাধিকারের জন্য যেসব হুমকি সৃষ্টি হয়েছে, সেগুলো মাত্রই অনুধাবন করতে শুরু করেছি আমরা।
তিনি বলেন, এই কঠিন সময় আমাদের প্রতি সব ধরনের মানবাধিকার- নাগরিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সামাজিক অধিকারের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আবারও উদ্যোমী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে।
২০২০ সালে আমি যে কল টু অ্যাকশনের সূচনা করেছিলাম, তা মানবাধিকারকে আমাদের চ্যালেঞ্জগুলোর সমাধানের কেন্দ্রে রেখেছে।
এই দৃষ্টিভঙ্গি আমার ‘আওয়ার কমন অ্যাজেন্ডা’ প্রতিবেদনে প্রতিফলিত হয়েছে, যা মানবাধিকারকে সমুন্নত রেখে নতুনভাবে সামাজিক মিথস্ক্রিয়ার জন্য আহ্বান জানায়।
আগামী বছর সর্বজননীন মানবাধিকার ঘোষণার ৭৫তম বার্ষিকীকে অবশ্যই পদক্ষেপ গ্রহণের সুযোগ হিসেবে নিতে হবে।
আমি সদস্য রাষ্ট্র, নাগরিক সমাজ, বেসরকারি খাত ও অন্যান্যদের প্রতি আজকের এই ক্ষতিকর প্রবণতা কাটাতে তাদের প্রচেষ্টার প্রাণকেন্দ্রে মানবাধিকারকে রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।
মানবাধিকার হলো মানব মর্যাদার শিকড় এবং শান্তিপূর্ণ, অন্তর্ভূক্তিমূলক, ন্যায্য, সমান ও সমৃদ্ধ সমাজের মূলভিত্তি।
আজকের এই মানবাধিকার দিবসে, আমরা সবার জন্য মানবাধিকারের পক্ষে সর্বজনীনত্ব ও অ-বিভাজ্যতার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিচ্ছি।