বিশ্ব ভালবাসা দিবস আজ
দ. প্রতিবেদক
বিশ্ব ভালবাসা দিবস আজ। মানুষে মানুষে বন্ধুত্ব, মমতা ছড়িয়ে দেওয়ার প্রত্যয়ে নানা আয়োজনে ১৪ ফেব্রæয়ারী বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে পালিত হচ্ছে দিনটি। তবে বিশেষ এই দিনে, স্থান, ব্যক্তি ভেদে রয়েছে ভালোবাসার রকমফের। কি প্রাচ্য, কি পাশ্চাত্য- কবিতা, গান আর পংক্তিমালায় অব্যক্ত ভালোবাসা প্রকাশের পথ খুঁজে নেয় শ্বাশত প্রেম। হৃদয়ের ব্যাকুলতা জানানোর যেমন রয়েছে বিভিন্ন উপলক্ষ্য, তেমনি ভিন্নতা রয়েছে প্রকাশ ভঙ্গিতেও।
ভালোবাসা নিয়ে অজ¯্র কবিতা আর গান সুরে-বেসুরে শোনানো হবে প্রিয়জনকে। প্রিয়তমার হাত ধরে কিংবা পাশে বসে অনেকেই রচনা করবে নিজেদের ভবিষ্যত। হয়তো এদিনেই বিভেদ ভুলে মিলন হবে দুই বন্ধুর। কেউবা অণুপ্রাণিত হবে সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসায়। মুঠোফোনের মেসেজ, ই-মেইল অথবা ফেসবুকের চ্যাটিংয়ে খুঁজে পাবে নতুন দিনের ঠিকানা। এ দিনে চকোলেট, পারফিউম, বই ইত্যাদি শৌখিন উপঢৌকন প্রিয়জনকে উপহার দেওয়া হয়।
কথিত আছে, ২৬৯ কিংবা ২৭০ খ্রিষ্টাব্দে রোমান স¤্রাট ক্লডিয়াস মৃত্যুদÐ দেন সেন্ট ভ্যালেইন্টাইনকে। কারো মতে, অন্ধপ্রেমিকার চোখের দৃষ্টি ফেরাতেই জীবন দিতে হয়েছে তাকে। কেউ বলে, বিয়ে প্রথা নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে নিজে বিয়ে করে বিদ্রোহী হন তিনি। আবার কারো মতে, রোগীর সেবা আর খ্রিষ্টধর্ম প্রচারের অপরাধে জীবন দিতে হয় চিকিৎসক ভ্যালেনটাইনকে।
জীবনের পরিসমাপ্তির মধ্য দিয়ে প্রেমের প্রতীক হয়ে উঠেন সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন। ৪৯৬ খ্রিষ্টাব্দে প্রথম পোপ জুলিয়াস ঘোষণা করেন ভ্যালেনটাইন ডে। তখন থেকে ক্রমেই বাড়ছে ভালোবাসা দিবস পালনের পরিধি।
চিরায়ত বন্ধন আর বিশ্বাসের সম্পর্কের নামই ভালোবাসা। ভালোলাগা থেকে ভালোবাসা, না ভালোবাসা থেকে ভালোলাগা এ নিয়ে মতপার্থক্য থাকলেও ভালোবাসার গভীরতম উপলব্ধি নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। ভালোবাসা দিবসে ভালোবাসার শুভেচ্ছা শুধু প্রেমিক-প্রেমিকাই নয়, প্রযোজ্য বাবা-মা- ভাইবোন, বন্ধু সকলের ক্ষেত্রেই।