বিশ্ব ইজতেমার দুই পর্বে ১৯ মুসলির মৃত্যু
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
টঙ্গীর তুরাগ তীরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমার প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেওয়া ১৯ মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুর পর্যন্ত এ ১৯ মুসল্লির মৃত্যু হয়। এছাড়া ইজতেমায় অংশ নিতে আসা আরও তিন মুসল্লি সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন।
দ্বিতীয় পর্বে অংশ নেওয়া পাঁচ মুসল্লি মারা গেছেন। তাদের মধ্যে শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাতে রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার উসমানপুর এলাকার হুমায়ুন কবীর (৬৫), ঝিনাইদহ সদর থানার কালাহাট গোপালপুর এলাকার আ ফ ম জহুরুল আলম (৬২), ঢাকার উত্তরা পশ্চিম থানার নলভোগ এলাকার ইলিয়াস মিয়া (৮৫), গাইবান্ধার সাঘাটা থানার কামালের পাড়া এলাকার আব্দুস ছোবহান (৬৫) মারা গেছেন। এছাড়া বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলার চানপুর এলাকার কাজী আলাউদ্দিন (৬৬) মারা গেছেন।
এর আগে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বে অংশ নেওয়া ১৪ মুসল্লি মারা যান। তারা হলেন- বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকালে ইয়াকুব আলী (৮৫), রাতে খোকা মিয়া (৬০) ও মোহাম্মদ আলী (৭০)। শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) সকালে শহিদুল ইসলাম (৫০) নামে এক মুসল্লি মারা যান। পরে রাতে আরও পাঁচ মুসল্লি মারা যান। তারা হলেন- কুমিল্লার দেবিদ্বার থানার ডিমলা এলাকার তমিজ উদ্দিন (৬৫), রাজশাহীর চারঘাট থানার বনকি এলাকার আব্দুর রাজ্জাক (৭০), ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ থানার তোল্লা এলাকার শাহজাহান (৬০), বরিশালের গৌরনদী থানার খালিশপুর এলাকার আলী আজগর (৫৫) ও নারায়গঞ্জের বন্দর থানার কলাবাগান এলাকার ওসমান গণি ইউসুফ (৫০)। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় কিশোরগঞ্জের কটিয়াদি থানার গুচিহাটা এলাকার নূর ইসলাম (৫৫), রাতে কক্সবাজারের টেকনাফ থানা এলাকার আলী আহমদ (৬০) ও জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানা এলাকার আব্দুল মোমিন (৫৫) মারা যান। এছাড়া আরও দু’জনের পরিচয় জানা যায়নি।
অপরদিকে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রাতে বিশ্ব ইজতেমায় যাওয়ার পথে টঙ্গীতে সড়ক দুর্ঘটনায় নরসিংদীর বেলাবো উপজেলার আব্দুর রহমান ওরফে সুরুজ মিয়া (৫৫) ও গাইবান্দার ফুলছড়ি উপজেলার গুলজার হোসেন (৪৫) মারা যান।
এছাড়া শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাতে টঙ্গীর কলেজগেট এলাকায় নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার বিলজুরা এলাকার মাজহারুল ইসলাম (১৭) বাস চাপায় মারা যান। আজ রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে দ্বিতীয় ও এবারের বিশ্ব ইজতেমা।