বিশ্বের শান্তিরক্ষায় সরাসরি অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ
দক্ষিণাঞ্চল ডেস্ক
জাতিসংঘের প্রয়োজন রয়েছে। সরকার তাদের কাছ থেকে অনেক উপকার-সহায়তা পেয়েছে। আমরা জাতিসংঘে শান্তিরক্ষার শান্তিরক্ষী। বৈশ্বিক শান্তিরক্ষায় বাংলাদেশ সরাসরি অংশ নিচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। গতকাল শনিবার হোটেল লেকশোরে কসমস ফাউন্ডেশন আয়োজিত সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, শান্তিরক্ষায় জাতিসংঘে আমাদের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। আমাদের কয়েকশ’জন প্রাণও দিয়েছেন। তাদের আমি স্যালুট জানাই। আমরা শান্তি চাই। সবাই মিলেমিশে শান্তির সঙ্গে বসবাস করতে চাই।
তিনি বলেন, ভারতের মানুষ ভারতে থাকবে, মিয়ানমারের মানুষ মিয়ানমারে। আমরা থাকবো আমাদের দেশে। সবাই নিজ নিজ দেশে থাকবে শান্তির সঙ্গে। কোনো দেশের সঙ্গে আমরা সহিংসতা চাই না। কেউ সহিংসতা করতে চাইলে তাকে আমরা সরাসরি বলবো অথবা জাতিসংঘের মাধ্যমে বোঝাবো। আমাদের মূলনীতি হলো, সবার সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। সবার সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখবো, কারও সঙ্গে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে শত্র“তা করবো না।
জাতিসংঘের অবদান তুলে ধরে এম এ মান্নান বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) ও সহগ্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ আমাদের অনেক সহায়তা করছে। আমাদের জাতিসংঘের অবশ্যই প্রয়োজন রয়েছে।
জাতিসংঘের সাবেক উপ-মহাসচিব লর্ড জর্জ মার্ক মালোক ব্রাউন বলেন, জাতিসংঘ সারাবিশ্বে শান্তিরক্ষায় কাজ করছে। সিরিয়া-ইরাকের শান্তি ফেরাতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। জাতিসংঘের মূলনীতি, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা। এখানে সরাসরি বাংলাদেশ বড় ভূমিকা রাখছে।
সংলাপে সভাপতিত্ব করেন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের ইনস্টিটিউট অব সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের প্রিন্সিপাল রিসার্চ ফেলো ড. ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী ও সঞ্চালনা করেন কসমস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এনায়েতুলাহ খান।
কসমস ডায়ালগ ডিস্টিংগুইশ স্পিকারস লেকচার সিরিজের অংশ হিসেবে এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। এতে খ্যাতিমান বিশেষজ্ঞদের একটি প্যানেল সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাযথ ও প্রাসঙ্গিক আলোচনায় অংশ নেন। পরে এতে যোগ দেন দর্শকরা। এসময় দীর্ঘসূত্রিতার কবলে পড়া রোহিঙ্গা সঙ্ককটসহ বর্তমান আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার বিষয়ে জাতিসংঘের অধিকতর সমন্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নিয়েও আলোচনা হয়।