বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে ৩ ট্রিলিয়নের মাইলফলকে অ্যাপল
বিশ্বের প্রথম কোম্পানি হিসেবে তিন ট্রিলিয়ন বা তিন লাখ কোটি মার্কিন ডলার বাজারমূল্যের অনন্য মাইলফলক স্পর্শ করলো অ্যাপল। গত সোমবার (৩ ডিসেম্বর) আইফোন নির্মাতার শেয়ারের দর তিন শতাংশ বেড়ে ১৮২ দশমিক ৮৮ ডলারে পৌঁছানোর পরপরই অভূতপূর্ব এই মাইলফলকে পা রাখে তারা। আজ পর্যন্ত পৃথিবীর অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এত বিশাল বাজারমূল্যের মালিক হতে পারেনি।
অ্যাপলের সম্পদ কতটা তার কিছুটা ধারণা পাওয়া যাবে এক সহজ হিসাবে। তিন ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছানোর ফলে অ্যাপলের বাজারমূল্য এখন বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ১০ দেশের মধ্যে ছয়টির জিডিপির (মোট দেশজ উৎপাদন) চেয়েও বেশি। দেশগুলোর নাম- যুক্তরাজ্য, ভারত, ফ্রান্স, ইতালি, কানাডা এবং দক্ষিণ কোরিয়া।
অ্যাপলের এই উত্থান অবশ্য চলছে কয়েক বছর ধরেই। ২০১৮ সালের আগস্টে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোম্পানি হিসেবে এক ট্রিলিয়ন বাজারমূল্যের মাইলফলকে পৌঁছায় তারা। এর মাত্র দুই বছর পরে, অর্থাৎ ২০২০ সালের আগস্টে তাদের বাজারমূল্য দুই ট্রিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। আর করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে প্রযুক্তি বাজারে সুবাতাস লাগায় পরের ১৭ মাসেই তিন ট্রিলিয়নে পৌঁছে যায় প্রতিষ্ঠানটি।
২০০৭ সালের জানুয়ারিতে অ্যাপলের প্রয়াত সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী স্টিভ জবস প্রথম আইফোন সামনে আনেন। এরপর থেকে সিলিকন ভ্যালি জায়ান্টের শেয়ারের দর বেড়েছে ৫ হাজার ৮০০ শতাংশ।
অ্যাপলের জন্য তিন ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে পৌঁছানোর প্রতীকী মাহাত্ম্য ব্যাপক। গত বছর ব্যবসার সূচকে অন্য টেক জায়ান্টদের চেয়ে কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিল অ্যাপল। ২০২১ সালে মাইক্রোসফট ও টেসলার শেয়ারের দর বেড়েছে ৫০ শতাংশ, গুগলের প্যারেন্ট কোম্পানি অ্যালফাবেটের ৬৫ শতাংশ এবং চিপনির্মাতা এনভিডিয়ার দর বেড়েছে প্রায় ১২৫ শতাংশ। একই সময়ে অ্যাপলের অর্জন মাত্র ৩৪ শতাংশ।
তবে প্রতিষ্ঠানটির বাজারমূল্যই বলে দিচ্ছে, পুঁজিবাজারে প্রভাব বিস্তারের ক্ষেত্রে সব প্রতিযোগীকে পেছনে ফেলেছে অ্যাপল। এসঅ্যান্ডপি ৫০০ ইনডেক্সের প্রায় সাত শতাংশ এখন অ্যাপলের দখলে।