‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শিক্ষার্থী বাড়ানোর অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নামছে’
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘প্রায় সব বিশ্ববিদ্যালয়ই ধারণক্ষমতা বিবেচনায় না নিয়ে শিক্ষার্থী বাড়ানোর অসুস্থ প্রতিযোগিতায় নামছে। এর প্রত্যক্ষ কুফল আমরা দেখতে পাচ্ছি। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকার জায়গা নেই, খেলাধুলার জায়গা নেই, সামাজিক-সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের জন্যও আলাদা জায়গা নেই। এছাড়া আরও অনেক সমস্যা তো আছেই।’
মঙ্গলবার (১০ মে) রাজধানীর আফতাবনগরে ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধির আগে শিক্ষার মান অর্জনের দিকে মনোনিবেশ করা অনেক বেশি জরুরি।’
তিনি আরও বলেন, ‘করোনা পরবর্তী বিশ্ব পরিস্থিতি অনেক পরিবর্তিত হয়েছে। তাই, চলমান পৃথিবীর সাথে তাল মেলানোর পাশাপাশি আগামী দিনের উপযোগী দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টিতে শিক্ষা খাতকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। এজন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়েছে। এই মাস্টারপ্ল্যানে ই-লার্নিংয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে যত বাধাই আসুক, হতাশ হওয়া যাবে না। করোনার দুই বছরে দেখা গেছে, পৃথিবী আসলে কত নিষ্ঠুর। তবু পেশাগত জীবনে সততা, দক্ষতার পাশাপাশি মানবিক গুণও ফুটিয়ে তুলতে হবে।’
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতির প্রতিনিধি হিসেবে শিক্ষার্থীদের হাতে সনদ তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সমাবর্তনে আন্ডার গ্র্যাজুয়েট ও গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ১ হাজার ৬৯৩ জন শিক্ষার্থীকে সনদ দেওয়া হয়। এছাড়া, অনন্য মেধাবী দুজন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় স্বর্ণপদক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম। সমাবর্তন বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এমিরেটাস অধ্যাপক ড. এম এ সাত্তার মণ্ডল। আরও বক্তব্য রাখেন—ইস্ট ওয়েস্ট ট্রাস্টি বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এম শহিদুল হাসান।