বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সশরীরে ক্লাস হবে না: শিক্ষামন্ত্রী
করোনা সংক্রমণের হার ক্রমাগত বাড়ার কারণে মাঠের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে বাধ্য হয়েই স্কুল-কলেজ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্তশাসিত হওয়ায় নিজেরা সিদ্ধান্ত নেবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সেখানে ক্লাসরুমে সশরীরে ক্লাস হবে না
তারা অনলাইনে ক্লাস নেবেন।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে নতুন কারিকুলামের ওপর প্রণীত পাঠ্য পুস্তকের ওপর এক পর্যালোচনা সভা শেষে সাংবাদিকদের দীপু মনি এ কথা জানান।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সকালে এক প্রজ্ঞাপনে ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল, কলেজ ও সমপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজ নিজ ক্ষেত্রে অনুরূপ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মাঠের চিত্রের ওপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। শিক্ষার্থীদের আপাতত দুই সপ্তাহ সশরীরে আসতে নিষেধ করেছি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করতে থাকবো তার ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। এখন অনলাইন বা অ্যাসাইনমেন্ট বা উভয়ে যতদূর সম্ভব আমরা করবো।
তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। আমাদের দিক থেকে যেটা বলার সেটা হচ্ছে ক্লাসরুমে সশরীরে ক্লাস হবে না। অনলাইনে তারা যাবেন। তারা তাদের নিজস্ব পদ্ধতি অনুসরণ করবেন।
দীপু মনি বলেন, আবাসিক শিক্ষার্থী যারা আছেন তাদের এখন যেভাবে তারা ম্যানেজ করছেন, কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে প্রয়োজনে আইসোলেশন সেন্টার, হাসপাতাল কিংবা অনেকেই নিজ নিজ বাড়ি চলে যাচ্ছেন। কিন্তু অনেক বেশি নজর রাখবেন স্বাস্থ্যবিধিটা যাতে ভালোভাবে মানা হয়।
তিনি বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা চায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা থাকুক। শিক্ষার্থীদের ভালোলাগার একদমই কথা নয়। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকা কাম্য নয়। কিন্তু অতিমারির কারণে সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।