বিশ্বকাপ ও অবসর নিয়ে মুখ খুললেন ডি ভিলিয়ার্স
ক্রীড়া ডেস্ক
ইংল্যান্ড ও ওয়েলস বিশ্বকাপটা মোটেও ভালো যায়নি দক্ষিণ আফ্রিকার। পয়েন্ট টেবিলের সপ্তম স্থানে থেকে বিশ্বকাপ মিশন শেষ করে প্রোটিয়ারা। এবারের আসরে দল হিসেবে প্রোটিয়ারা ছিলো দুর্দান্ত। তবে মাঠের লড়াইয়ে তারা সেটা প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়।
দক্ষিণ আফ্রিকা দলের এক সময়ে ভরসার প্রতীক হয়ে ছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। বিশ্বের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ছিলেন অন্যতম। টেস্ট, ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টি যে ফরম্যাটেই হোক না কেন সময় উপযোগী ব্যাটিং করায় ছিলেন তিনি পারদর্শী।
২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে ইনজুরির কারণে দীর্ঘদিন ছিলেন দলের বাইরে। চোট কাটিয়ে ২০১৮ সালে শুরুর দিকে দলে ফিরলেও ব্যাট হাতে ছিলেন ব্যর্থ। এরপর আর দলে ফেরার সুযোগ হয়নি তার। ফলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেই বিদায় জানান ডি ভিলিয়ার্স।
তার অবসরের পর মিডিয়ার সমালোচনা হয় দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডকে নিয়ে। এবি নিজেও নিশ্চুপ ছিলেন। তবে অবসরের দীর্ঘ দিন পর ডি ভিলিয়ার্স মুখ খুলেছেন নিজের অবসরের কারণ নিয়ে।
এবি মুখ খুলেছেন বিশ্বকাপে ‘খেলতে চাওয়া’ নিয়েও। আসর চলাকালীন গুঞ্জন ওঠেছিল অবসর ভেঙে দলে ফিরে বিশ্বকাপ খেলতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু প্রোটিয়ারা সাড়া দেয়নি। তখন এই বিতর্কিত বিষয় নিয়ে টুঁ শব্দ করেননি ডি ভিলিয়ার্স। এবার সবকিছুর ইতি টানলেন এক বিবৃতিতে।
তিনি বলেছেন, ‘সেই সময়ে (বিশ্বকাপ দল ঘোষণার সময়) প্রোটিয়া ক্রিকেট বোর্ড ও আমার মাঝে কোন ধরণের যোগাযোগ হয়নি। আমি দলের বাইরে থাকা অবস্থায় দক্ষিণ আফ্রিকা ভালো খেলছিল ডু প্লেসিসের অধীনে। ডু প্লেসিস ও আমি স্কুলের ভালো বন্ধু ছিলাম। বিশ্বকাপ দল ঘোষণার দুই আগে তার (ডু প্লেসিস) সাথে আমার কথা হয়। আমি বলেছিলাম দলের প্রয়োজনে আমি খেলবো তবে শুধু প্রয়োজন হলে।’
অবসরের কারণ প্রসঙ্গে ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘২০১৮ সালের মে মাসে আমি অবসর নিই। কারণ আমি খেলার চাপটা কমিয়ে এনে স্ত্রী আর ছেলেকে সময় দিতে চেয়েছি। তবে দলে ফেরার রাস্তা খোলা থাকলেও আমি আর চাপ নিইনি। কারও ওপর আমার কোন রাগও নেই। দলের সবার সঙ্গেই আমার ভালো সম্পর্ক রয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার পরবর্তী প্রজন্মের জন্য যদি কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হয় আমি অবশ্যই তাদের পাশে এসে দাঁড়াব।’
টেস্ট, ওযানডে আর টি-টোয়েন্টি মিলে প্রায় ২০ হাজার রানের মালিক ডি ভিলিয়ার্স। তবে ইনজুরি আর ফর্মহীনতার কারণে অবসরের মঞ্চটা ভালোভাবে পাননি তিনি। এটিই হয়তো সারা জীবন আফসোস থেকেই যাবে ডি ভিলিয়ার্সের।