বিশ্বকাপে কাতারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতিবাদ জানাবে ডেনমার্ক
বিশ্বকাপের জন্য কাতারে নির্মাণকাজের সময় প্রায় সাত হাজার অভিবাসী শ্রমিক মারা গেছেন বলে একাধিক গণমাধ্যমের দাবি, যদিও কাতার তা প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনে রেকর্ডের অভিযোগ শোনা গেছে। তাদের এই মানবাধিকার লংঘনের প্রতিবাদ জানাতে উদ্যোগ নিয়েছে ডেনমার্ক ফুটবল দল।
মৃত্যুবরণ করা অভিবাসন শ্রমিকদের স্মরণে ও কাতারের মানবাধিকার লংঘনের প্রতিবাদস্বরূপ একটি বিশেষ জার্সি পরবে ডেনমার্ক দল। তাদের জার্সি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান হামেল তৃতীয় আরেকটি জার্সি তৈরি করেছে, যেটি কালো রঙয়ের। যদিও তাদের হোম ও অ্যাওয়ে জার্সি সম্পূর্ণ লাল ও সাদা রঙয়ের।
কাতারের মানবাধিকার লংঘনের প্রতিবাদ জানাতে এবার ‘শোকের রঙয়ের’ জার্সি বানালো হামেল। তারা বিশেষ জার্সির ছবি ইনস্টাগ্রামে দিয়ে লিখেছে, ‘শোকের রঙ। পুরো টুর্নামেন্টে যখন আমরা ড্যানিশ জাতীয় দলকে সমর্থন করবো, তখন হাজার হাজার মানুষের জীবনের বিনিময়ে হতে যাওয়া টুর্নামেন্টকে সমর্থনে দ্বিধান্বিত হবো না।’
গত নভেম্বরে ড্যানিশ ফুটবল ফেডারেশন কথা দিয়েছিল, টুর্নামেন্টে একটি ‘সমালোচনামূলক বার্তা’ তারা দেবে। কিন্তু ফিফার নিয়ম অনুযায়ী জাতীয় দলের জার্সি বা ট্রাউজারে কোনও ধরনের রাজনৈতিক বার্তা বা চিহ্ন থাকা চলবে না। সেই কথা মাথায় রেখে কোনও বার্তা বা চিহ্ন ব্যবহার না করে পুরো জার্সির রঙ কালো করা হয়েছে।
অবশ্য কাতারের বিশ্বকাপ আয়োজক কমিটি হামেলের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বিবৃতি দেয়, ‘ফিফা বিশ্বকাপের স্টেডিয়াম ও অন্য টুর্নামেন্ট প্রকল্প নির্মাণে ৩০ হাজার শ্রমিকের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা সুরক্ষায় আমাদের সত্যিকারের প্রতিশ্রুতিকে তুচ্ছ করার এই দাবি আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’
বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ৩২ দলের অনেকেই কাতারের বিরুদ্ধে শক্ত অবস্থানে নিয়েছে, তাদের মধ্যে একটি ডেনমার্ক। গত সপ্তাহে ইউরোপিয়ান ক্যাম্পেইনে যোগ দেয় তারা, যেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে- এবারের বিশ্বকাপ ম্যাচগুলোতে অধিনায়করা হৃদয় আকৃতির, বহু রঙয়ের ‘ওয়ান লাভ’ আর্মব্র্যান্ড পরবেন।
ডেনমার্ক এবারের বিশ্বকাপ শুরু করবে ২২ নভেম্বর তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। প্রথম ম্যাচে তারা হোম টিম হিসেবে খেলবে এবং নিজেদের পছন্দের রঙয়ের জার্সি পরতে পারবে। তাদের অন্য গ্রুপ প্রতিপক্ষ ফ্রান্স ও অস্ট্রেলিয়া।